একাকীত্বের এই লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করবেন না!
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ নভেম্বর : একাকীত্বের সমস্যা অর্থাৎ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রবীণরা ক্রমশই এর শিকার হচ্ছেন। একটি সাম্প্রতিক WHO রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি চারজন বয়স্ক ব্যক্তির মধ্যে একজন একাকীত্বের শিকার, যদিও যুবক এবং কিশোররাও এর থেকে অস্পৃশ্য নয়। প্রতিযোগিতার সময়ে, কাজের চাপ বৃদ্ধি বা পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে পিছিয়ে থাকার বিষয়ে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতির মতো অনেক কারণ রয়েছে যা একাকীত্বকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সময়মতো এর লক্ষণগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে এবং ব্যক্তিটি হতাশার শিকারও হতে পারে।
একাকীত্বের সাথে লড়াই করা একজন ব্যক্তির পক্ষে কিছু লক্ষণ দেখা যায়, যা উপেক্ষা করা উচিৎ নয় যাতে সমস্যাটিকে সময়মতো গুরুতর হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়। জেনে নেওয়া যাক একাকীত্বের লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধের কিছু উপায়-
দুর্বল ঘুমের ধরণ:
যারা একাকীত্বের সাথে লড়াই করছেন তাদের ঘুমের ধরণে পরিবর্তন হতে পারে, যেমন রাতে ঠিকমতো ঘুমতে না পারা বা সারাক্ষণ ঘুমিয়ে থাকা। তবে এর পেছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন পুষ্টির অভাব বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা। এই সমস্ত পরিস্থিতিতে লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়।
নিজেকে সবসময় কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করা:
একাকীত্বের সমস্যার কারণে মানুষ প্রায়ই শরীরে শক্তি কম অনুভব করে এবং কোনো কাজে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে পারে না। যাইহোক, একাকীত্বের সাথে লড়াই করা লোকেরাও নিজেকে অতিরিক্ত ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে।
মানুষের থেকে দূরে থাকা এবং স্ক্রিন টাইম বাড়ানো:
যারা একাকীত্বে ভুগছেন তারা মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করতে শুরু করেন এবং এ কারণেই তারা কথা বলতে এবং সাহায্য চাইতে লজ্জা পান। সামাজিক জীবনের পরিবর্তে, এই লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশি সময় কাটাতে শুরু করে এবং প্রায়শই দু:খিত দেখাতে পারে।
এই লক্ষণগুলিও দেখা যায়:
যারা একাকীত্বের শিকার তাদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, অস্থিরতা, মাথাব্যথা, পেট ব্যথার মতো সমস্যাও দেখা যায়। অতএব, মানসিক পাশাপাশি শারীরিক লক্ষণগুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিৎ।
কীভাবে নিজেকে একাকীত্ব থেকে রক্ষা করবেন:
একাকীত্ব এড়াতে পরিবার ও বন্ধুদের মাঝে সময় কাটান। এর জন্য কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। এগুলি ছাড়াও, আপনার শখ যেমন নাচ, গান, গান, রান্না, বাগান করা, শিল্পকর্ম বা অন্য কোনও পছন্দের কাজগুলিতে মনোনিবেশ করা শুরু করুন। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের জন্য কিছু সময় বের করতে ভুলবেন না। আপনার ব্যস্ত সময়সূচী থেকে বের হয়ে প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটান। এমনকি উপসর্গ অনুভূত হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment