বিধানসভা নির্বাচনে কিংমেকারের ভূমিকা পালন করতে পারেন যারা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৭ নভেম্বর : মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা ৩রা ডিসেম্বর। অনেক এক্সিট পোল এ বার কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০১৮ সালে, স্বতন্ত্র এবং ছোট দলগুলি কিংমেকার হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ১০৯টি আসন জিতেছিল, আর কংগ্রেস ১১৪টি আসন জিতেছিল। অবশ্যই, কংগ্রেস সর্বাধিক সংখ্যক আসন পেয়েছিল, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য (১১৬ আসন) আরও দুইজন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। পরে, স্বতন্ত্র, এসপি এবং বিএসপি-র বিধায়করা কংগ্রেসকে সমর্থন করে কিংমেকারের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এবারও ২০১৮ সালের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমতাবস্থায় বিজেপি ও কংগ্রেসের নজর সেই স্বতন্ত্র ও ছোট দলের প্রার্থীদের দিকে যাদের জয় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে ৬-৭টি আসন রয়েছে যেখানে এই প্রার্থীরা জিততে পারেন। চলুন জেনে নেই কিছু নাম, যারা কিংমেকার হতে পারেন-
নারায়ণ ত্রিপাঠী - নির্বাচন ঘোষণার আগেই দলবিরোধী কার্যকলাপের কারণে মাইহারের বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠীর টিকিট বাতিল করেছিল বিজেপি। বিদ্রোহী নারায়ণ ত্রিপাঠী বিন্ধ্য বিকাশ পার্টি গঠন করেন। তিনি এ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং তার বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে।
সুরেন্দ্র সিং শেরা - বর্তমানে সুরেন্দ্র সিং শেরা (স্বতন্ত্র) বুরহানপুর বিধানসভা আসনের বিধায়ক। এখানে বিজেপি অর্চনা চিটনিসকে টিকিট দিলে প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নন্দ কুমার সিং চৌহানের ছেলে হর্ষ সিং চৌহান ক্ষুব্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান। এবার হর্ষ সিং চৌহানকেও জয়ের দাবীদার মনে করা হচ্ছে।
প্রেমচাঁদ গুড্ডু - প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রেমচাঁদ গুড্ডু আলোট বিধানসভা আসন থেকে টিকিট চেয়েছিলেন, কিন্তু দল তা বিবেচনা করেনি। এরপর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এই এলাকায় তাদের ভালো দখল আছে। এখানে গুড্ডু জিততে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্তর সিং দরবার - অন্তর সিং দরবার মহু বিধানসভা আসন থেকে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে অন্তর সিং কংগ্রেসে থাকলেও টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এখান থেকে অন্তর সিংকে জয়ের দাবীদার হিসেবে ধরা হচ্ছে।
কেদারনাথ শুক্লা- মূত্রত্যাগ কেলেঙ্কারির কারণে আলোচনায় এসেছিল কেদারনাথ শুক্লার নাম। এই ঘটনার জেরে কেদারনাথ থেকে সাংসদ রীতি পাঠককে টিকিট বাতিল করে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ক্ষুব্ধ কেদারনাথ শুক্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।
No comments:
Post a Comment