খাটু শ্যামের জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর কথা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ নভেম্বর : বাবা খাটু শ্যামের প্রতি ভক্তদের মধ্যে রয়েছে গভীর বিশ্বাস। তাঁর মহিমা অতুলনীয়। রাজস্থানের সিকারে বাবা খাটু শ্যামের একটি বিশাল এবং বিখ্যাত মন্দির রয়েছে।
প্রতি বছর কার্তিম মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে ভগবান খাতু শ্যামের জন্মদিন পালন করা হয়। এই বছর বাবা খাটু শ্যামের জন্মদিন বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর পালিত হচ্ছে। খাটু শ্যামের জন্মদিনে বিশেষ পূজা করা হয়, নৈবেদ্য দেওয়া হয় এবং তাকে ফুল দিয়ে সজ্জিত করা হয়। এদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে বাবা খাটু শ্যামের দর্শন পেতে।
ভগবান খাটু শ্যাম ছিলেন বারবারিক, যিনি আজ খাটু শ্যাম নামে পরিচিত। তাদের সম্পর্ক মহাভারত যুগের সাথে সম্পর্কিত। বারবারিক খুব শক্তিশালী ছিল। এতটাই যে মহাভারতের যুদ্ধও তার একটি তীর দিয়ে শেষ হয়ে যেতে পারতো। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাঁর শক্তি ও প্রতিভায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন এবং কৃষ্ণের কাছ থেকেই তিনি কলিযুগে পূজিত হওয়ার বর পেয়েছিলেন। চলুন জেনে নিই খাটু শ্যামের পুরো কাহিনী-
বারবারিক ঘটোৎকচের পুত্র ও দেবী দুর্গার একজন মহান ভক্ত ছিলেন এবং দেবীর কাছ থেকে ৩টি ঐশ্বরিক তীর পেয়েছিলেন। মহাভারতের যুদ্ধের সময়, বারবারিক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে এই যুদ্ধে যেই পরাজিত হবে সে তার পক্ষে যুদ্ধ করবে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ভালো করেই জানতেন যে বর্বররা যুদ্ধক্ষেত্রে এলে পাণ্ডবদের পরাজয় নিশ্চিত।
এমতাবস্থায় শ্রীকৃষ্ণ ব্রাহ্মণের রূপ পরিবর্তন করে বারবারিককে থামানোর চেষ্টা করেন। ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে কৃষ্ণ বারবারিকার মস্তক উপহার হিসেবে চাইলেন। তিনি এমন দান চাইলেই বারবারিক বুঝতে পারলেন যে তিনি সাধারণ ব্রাহ্মণ নন। বারবারিক তাকে তার আসল রূপে আসতে বললেন। এরপর শ্রীকৃষ্ণ বারবারিকের কাছে দেখা দিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেখার সাথে সাথে বারবারিক খুশি হয়ে তার মস্তক দান করলেন। শ্রীকৃষ্ণ বারবারিকের ভক্তি ও ত্যাগে অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে বর দিলেন যে, কলিযুগে তুমি আমার শ্যাম নামে পূজিত হবে। যারা আপনার পূজা-অর্চনা করবে তাদের সকল ইচ্ছা পূরণ হবে।
No comments:
Post a Comment