১০০ বছর বেঁচে থাকার নিয়ম
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ নভেম্বর : বর্তমান সময়ে, ১০০ বছর বেঁচে থাকা একটি বড় বিষয়। কারণ পরিবর্তিত জীবনধারা ও ব্যস্ত জীবনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফাস্টফুডের প্রতি আসক্তি আমাদের খাদ্যাভাসকে নষ্ট করে দিয়েছে। ১০০ বছর বা তার বেশি বয়স অর্জন করা মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন জেনে নেই-
'ব্লু জোন' এমন একটি নাম যা আমাদের সেই এলাকার কথা মনে করিয়ে দেয় যেখানে মানুষ ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস করে। এগুলি সেই জায়গা যেখানে বাতাস, জল এবং মাটি খুব পরিষ্কার এবং বিশুদ্ধ।এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন লেখক ড্যান বুয়েটনার। তিনি বিশ্বের অনেক ব্লু জোন অধ্যয়ন করেছেন। তিনি দেখতে পান যে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক মিল রয়েছে যা তাদের দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবন দেয়। তিনি বলেন, 'ব্লু জোন'-এর মানুষের ১০০ বছরের বেশি বেঁচে থাকার অনেক কারণ রয়েছে।
উপবাস:
ব্লু জোনে ১০০ বছরের বেশি বয়সী বসবাসকারী কিছু লোকের দৈনন্দিন রুটিনেও উপবাস অন্তর্ভুক্ত। গবেষণায় দেখা গেছে যে উপবাস, বিশেষ করে বিরতিহীন উপবাস যেমন ১৬:৮ ইত্যাদি শরীরের জন্য উপকারী। তারা তাদের পেট ১০০ শতাংশ পূরণ করে না, তারা মাত্র ৮০ শতাংশ খায়।
দৈনিক ব্যায়াম:
১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লু জোনের বেশিরভাগ মানুষই প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম করেন। সকালের হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা অন্য কোনও কার্যকলাপ হোক না কেন - প্রতিদিন ৩০ থেকে ৬০ মিনিটের মাঝারি কার্ডিও ব্যায়াম তাদের দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।
কম অ্যালকোহল পান:
১০০ বছরের বেশি বয়সী ব্লু জোন এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দা খুব কম অ্যালকোহল পান করে। অনেকেই অ্যালকোহল থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকেন।
যথেষ্ট ঘুম:
১০০ বছরের বেশি বয়সী ব্লু জোন এলাকার বাসিন্দাদের একটি সাধারণ অভ্যাস হল প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা গভীরভাবে ঘুমানো। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে বিশ্রাম দেয় এবং স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও কমায়। এতে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম দীর্ঘ জীবনের চাবিকাঠি।
সামাজিক সম্পর্ক:
ব্লু জোনে বসবাসকারী লোকেরা তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখে। এই কারণে, তারা মানসিক ঘনিষ্ঠতা, সহযোগিতা এবং সহানুভূতি বজায় রাখে।এসব সামাজিক সম্পর্কের কারণে তারা একাকীত্ব এবং হতাশার মতো সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকে। এই কারণেই তারা ১০০ বছরেরও বেশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে।
No comments:
Post a Comment