গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের কী খাওয়া উচিৎ বলেছেন বিশেষজ্ঞ
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ০৪ নভেম্বর : ডায়াবেটিস একটি দুরারোগ্য রোগ, যা খারাপ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ফল। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রায়ই ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। বিশেষ করে, গর্ভবতী মহিলার যদি ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে তবে তার নিজের আরও যত্ন নেওয়া দরকার। মহিলাদের জন্য, এটি এমন একটি সময় যখন তাদের মধ্যে মানসিক এবং মানসিক পরিবর্তন ঘটতে পারে।
তাই গর্ভাবস্থায় যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তাদের খাবারে সঠিক পুষ্টিও পাওয়া উচিৎ। UNDAC-এর জনস্বাস্থ্য নেতা ডাঃ সাবিন কাপাসি বলেছেন, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের কী কী পুষ্টির প্রয়োজন তা নিয়ে? ইউনাইটেড নেশনস ভিয়েনায় জনস্বাস্থ্য নেতা হিসেবে কর্মরত ডাঃ সাবিন বলেন, গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের নিজের পাশাপাশি সন্তানেরও যত্ন নিতে হয়। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মায়ের পাশাপাশি সন্তানকেও প্রভাবিত করে। আসুন আমাদের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীদের এই সময়ে কী কী খাবার খাওয়া উচিৎ-
সুষম খাদ্য:
ডায়াবেটিসের সমস্যার মুখোমুখি একজন নতুন মাকে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা উচিৎ। তাদের ডায়েটে জটিল কার্বোহাইড্রেট, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ। এই খাদ্য সংমিশ্রণ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার যেমন গোটা শস্য, শাকসবজি এবং লেবু অন্তর্ভুক্ত করুন। ফাইবার গ্লুকোজের শোষণকে ধীর করে দেয় এবং স্থিতিশীল রক্তে শর্করা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন মায়েদের প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করা উচিৎ।
জলয়োজিত থাকার:
মহিলারা প্রায়ই গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত জল পান করতে সক্ষম হন না। কিন্তু গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা রক্ত প্রবাহ থেকে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বের করে দিতে সাহায্য করে। নতুন মায়ের প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ কাপ জল পান করা উচিৎ।
ডাঃ সাবিন কাপাসি বলেছেন যে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করাও গুরুত্বপূর্ণ যাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডাক্তারের নির্দেশিত ওয়ার্কআউট অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment