টাইম ট্রাভেল কী বাস্তবে হতে পারে! - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Friday 24 November 2023

টাইম ট্রাভেল কী বাস্তবে হতে পারে!

 



টাইম ট্রাভেল কী বাস্তবে হতে পারে!




ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৪ নভেম্বর : টাইম ট্রাভেলের সায়েন্স ফিকশন মুভি দেখার সময় আমাদের মনে একটা বড় প্রশ্ন প্রায়ই জাগে, এটা কি সত্যিই হতে পারে?  যাতে কেউ ভবিষ্যতে বা অতীতে যেতে পারে।  যখন আমরা এই বিষয়ে অন্যদের সাথে কথা বলি, বেশিরভাগ লোকেরা এটিকে কল্পবিজ্ঞান বলে উড়িয়ে দেন, কিন্তু আপনি কি জানেন যে বিজ্ঞান সময় ভ্রমণের তত্ত্বগুলিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেনি।


 এটি ১৮৯৫ সালে প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হয়েছিল:


১৮৯৫ সালে প্রকাশিত 'দ্য টাইম মেশিন' উপন্যাসে এর প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়।  এটি বিখ্যাত বিজ্ঞান লেখক H.G. দ্বারা লিখেছেন, যাকে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর জনক বলা হয়।  ওয়েলস লিখেছেন, কিন্তু এটি একটি উদ্ভাবনী উপায়ে ব্যাখ্যাযোগ্য ছিল না।  সাহিত্য ও সিনেমার ক্ষেত্রে সময়-ভ্রমণের ধারণাটি কিছু বৈজ্ঞানিক নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।  মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, যিনি এই তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করেছিলেন, বিশ্বকে তাঁর 'আপেক্ষিকতার তত্ত্বের' সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।


 সময়-ভ্রমণের ধারণা বোঝার জন্য, আপেক্ষিকতার নীতিগুলি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।  এই তত্ত্বের আগে, সময়কে প্রত্যেকের জন্য একই, ধ্রুবক বা পরম বলে বিবেচিত হত, যার অর্থ হল যে কোনও ব্যক্তির জন্য সময় ধ্রুবক হবে, সে পৃথিবীর যে কোণেই থাকুক না কেন।  আইনস্টাইন এই ধারণার অবসান ঘটান।  তিনি বলেন, সময় সবার জন্য এক নয়, অর্থাৎ দুটি ভিন্ন স্থানে উপস্থিত মানুষের জন্য সময় আলাদা।  তার মতে, দুটি ঘটনার মধ্যবর্তী সময় নির্ভর করে ব্যক্তির গতি এবং দর্শকের দৃষ্টির ওপর।


বিজ্ঞান কি বলে:

 টাইম ট্রাভেল নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বরাবরই মতবিরোধ রয়েছে।  কিছু বিজ্ঞানী এটিকে সম্ভব বলে মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন।  ১৯১৫ সালে, অ্যালবার্ট আইনস্টাইন 'আপেক্ষিকতা তত্ত্বের' মাধ্যমে একটি নতুন পদ্ধতি উপস্থাপন করেন।  তিনি সময় এবং গতির মধ্যে সম্পর্ক স্পষ্ট করেছেন।  তিনি বলেছিলেন যে 'সময়' এক গতিতে চলে না, বরং 'গতি' অর্থাৎ 'গতির' উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল।  উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার গতি বেশি হয় তবে আপনি কম সময়ে দূরত্ব সম্পূর্ণ করতে পারবেন, যেখানে ধীর গতিতে আপনার আরও সময় লাগবে।  আপনি যদি আপনার গতি খুব দ্রুত বাড়ান তবে আপনি সময়ের আগে যেতে পারবেন, যাকে আমরা ভবিষ্যতও বলতে পারি।


 মহাবিশ্বে ঘটতে থাকা জিনিসগুলির জন্য একটি নির্দিষ্ট গতি সীমা রয়েছে, যেমন আলোর গতি ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ m/s, অর্থাৎ এটি আলোর গতি অতিক্রম করতে পারে না।  আমরা যদি আমাদের গতিকে আলোর গতিতে পরিবর্তন করি তাহলে কী হবে?  এটা সম্ভব যে আমরা যদি আলোর গতিতে ভ্রমণ করি তবে আমরা বর্তমান সময়ের বাইরে চলে যাব।


 বিজ্ঞানে সময় ভ্রমণের ইঙ্গিত রয়েছে:


১৯৭১ সালে, Joseph C. Hafele এবং Richard E. Keating 'থিওরি অফ রিলেটিভিটি'-এর উপর ভিত্তি করে একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেন, যার নাম ছিল Hafele-Keating Experiment।  এই পরীক্ষায় চারটি পারমাণবিক ঘড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল।  এই ঘড়িগুলো দিয়ে তিনি পৃথিবীর দুইটি প্রদক্ষিণ করেন, কিন্তু যখন দুটিই ফিরে আসেন, ফলাফল ছিল আশ্চর্যজনক।  তিনি তার মানমন্দিরে একটি পারমাণবিক ঘড়ি রেখেছিলেন, অন্য তিনটি ঘড়ি তার সাথে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছিল।  ফিরে এসে দেখলেন চার ঘড়ির সময় আলাদা।  এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল যে, আমরা যদি আমাদের গতি বাড়াই তাহলে আমরা সময়মতো এগিয়ে যেতে পারব, অর্থাৎ ভবিষ্যতে যেতে পারব।  এখন পর্যন্ত সম্ভবত বিজ্ঞান যথেষ্ট অগ্রগতি করতে পারেনি যাতে আমরা সময়ের গতিতে এগিয়ে যেতে পারি।  তবে এটি ভবিষ্যতেও হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad