গৌতম বুদ্ধের অমৃতবাণী
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ নভেম্বর : গৌতম বুদ্ধের সবচেয়ে প্রিয় শিষ্যের নাম ছিল আনন্দ। একবার আনন্দের মনে জেগে ওঠা কৌতূহল মেটাতে গিয়ে বুদ্ধ তাকে শীলগন্ধের রহস্য এবং জীবনে এর গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন। কী বলেন চলুন জেনে নেই-
আনন্দ যিনি গৌতম বুদ্ধের অন্যতম প্রিয় শিষ্য ছিলেন। একবার তিনি শ্রাবস্তীতে বিপাসনা করছিলেন। বিপাসনা বুদ্ধের বহু শিক্ষার একটি। তখন সন্ধ্যের সময়, আর এদিকে আনন্দের দৃষ্টি গেল পাশে ফুটে থাকা সুন্দর ফুলের দিকে।
ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে আনন্দ তাদের সুগন্ধের কথা ভাবতে লাগলো, 'এই ফুলগুলোর সুবাস কত সুন্দর। কিন্তু বাতাস যে দিকে বইছে সব সুগন্ধি যাচ্ছে। ফুলের সুবাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক। সর্বোপরি, কেন ফুলের সুবাস চারদিকে ছড়ায় না, কেবল বাতাসের দিকেই ছড়ায়?
আনন্দের মনে পড়ল যে বুদ্ধ তিন ধরনের মহৎ গন্ধের কথা বলেছিলেন, সেগুলো হল মূলগন্ধ, সরগন্ধ ও পুষ্পগন্ধ। এর পর আনন্দ ভাবতে লাগলেন, এমন একটা সুগন্ধ কি হতে পারে যা বাতাসের উল্টো দিকেও ছড়াতে পারে? মানে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এই ভেবে মনের মধ্যে উদিত এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বুদ্ধের কাছে গেলেন।
বুদ্ধ বলেছেন শীলগন্ধের গুরুত্ব:
আনন্দ বুদ্ধকে বলেন, এমন কোন সুগন্ধ আছে যা সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে? বুদ্ধ আনন্দকে বললেন, মূলগন্ধ, সরগন্ধ ও পুষ্পগন্ধ এই তিনটি গন্ধের বাইরেও একটি গন্ধ আছে যাকে বলে ‘শীলগন্ধ’ (চরিত্রের ঘ্রাণ)। যে ব্যক্তি বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের তিনটি রত্নের আশ্রয় নেয় এবং শিক্ষাকে বাস্তবে প্রয়োগ করে, তার এই সুগন্ধ থাকে।'
যে ব্যক্তি পাপ ও মন্দ চিন্তা থেকে দূরে থাকে, ধর্ম পালন করে, দান করে, সমস্ত ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ করে এবং জীবনে ত্যাগকে গুরুত্ব দেয় তার মধ্যে শীলগন্ধা পাওয়া যায়। এমন ব্যক্তির সুবাস সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষ তাকে সম্মান করে। বুদ্ধের কথা শুনে আনন্দ বললেন আর এই গন্ধ নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে পুরো পৃথিবী।
No comments:
Post a Comment