গানের জগৎয়ে আসার আগে এই জনপ্রিয় র্যাপার এই কাজ করতেন
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ১৯ নভেম্বর : র্যাপার বাদশা-এর আলাদা কোনো পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। গত কয়েক বছরে বাদশা একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছেন, যেগুলো তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এখন আমরা চলচ্চিত্রেও বাদশাকে শুনতে পাই। র্যাপার হওয়ার আগে তিনি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। এমনকি কিছুদিন প্রকৌশলী হিসেবেও কাজ করেছেন। চলুন জেনে নেই বাদশার সম্পর্কে -
বাদশা একসময় প্রকৌশলী ছিলেন
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদশা চণ্ডীগড় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন। গানের জগতে প্রবেশের আগেও তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন। বাদশা বলেন, 'আমি চণ্ডীগড়ের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পড়ি। লেখাপড়া শেষ করার পর আমিও চাকরি করেছি। আমি হেলমেট পরে সাইটে যেতাম, কিন্তু আমার সেই কাজ পছন্দ হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে, আমি সঙ্গীত শিল্পে একটি সুযোগ পেয়েছি এবং তারপরে আমি আর পিছনে ফিরে তাকাইনি। এখন আমি বলি যে আমি প্রথম থেকেই একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং পরে আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়েছি।
বাদশাও প্রকাশ করেছিলেন যে তার বাবা-মা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন যখন তিনি তাদের বলেছিলেন যে তিনি একজন র্যাপার হতে চান। বাদশা বলেন, 'আমি যখন প্রথম আমার বাবা-মাকে বলি যে আমি র্যাপার হতে চাই, তারা জিজ্ঞেস করেন এই র্যাপ কী? তারপর আমি তাদের বোঝানোর জন্য ৫০ সেন্টের রেপ ভিডিও দেখাই। এটি একটি সামান্য অশ্লীল ভিডিও ছিল, যা দেখার পরে বাবা-মা বলেছিলেন যে ছেলেকে আগে বড় হতে হবে। তারপর তাঁরা বলেন যা করতে চাও তাই করো। তখন বাবা-মাকে বোঝানো খুব কঠিন ছিল।
খবর অনুযায়ী, ২০০৬ সালে হানি সিংয়ের মিউজিক গ্রুপ মাফিয়া মুন্দিরে যোগ দেন বাদশা। সেখানে কিছুদিন কাজ করেন। এর পরে, তিনি ইন্দ্রদীপ বক্সীর সাথে 'স্যাটারডে' গানটি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছিলেন, যা একটি বিশাল হিট হয়েছিল। তবে বাদশা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান 'ডিজে ওয়ালে বাবু' গান থেকে। এটি গেয়েছিলেন বাদশা এবং আস্থা গিল। এমনকি গানটির কথা ও সংগীত দিয়েছেন বাদশা নিজেই। এই গানটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছিল যে সবার মুখে মুখে বাদশা নামটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
No comments:
Post a Comment