দীপাবলিতে কেন তৈরি হয় স্বস্তিক চিহ্ন?
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর : আজ দীপাবলি। পবিত্র শব্দ এবং প্রতীকগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। স্বস্তিক চিহ্নকে খুব বিশেষ মনে করা হয়। সনাতন ধর্মে, প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পূজার স্থানে, দরজার সামনে স্বস্তিকের শুভ প্রতীক রয়েছে। যে কোনো শুভ কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করা হয়।
দীপাবলিতে কেন তৈরি হয় স্বস্তিক চিহ্ন :
সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে স্বস্তিক প্রতীক যে কোনো কাজে শুভতার প্রতীক। শুধু তাই নয়, স্বস্তিক প্রতীক সুখ ও সমৃদ্ধির সাথেও জড়িত। মনে করা হয়, এই প্রতীক তৈরি করে কোনো কাজ শুরু করলে কোনো বাধা ছাড়াই কাজ শেষ হয়। স্বস্তিকা প্রতীক শক্তি, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।
ঋগ্বেদে স্বস্তিককে সূর্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। স্বস্তিকর চারটি লাইন বিভিন্ন জিনিসের প্রতীক। স্বস্তিক প্রতীকটি অত্যন্ত শুভ, তাই এটি তৈরি করার সময় এর রঙের বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। সর্বদা লাল বা সিঁদুরের রঙে স্বস্তিক তৈরি করুন। এই শুভ চিহ্নটি মঙ্গলকে চার দিক থেকে কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে যার ফলে গ্রহের দোষও দূর হয়।
ধর্মীয় তাৎপর্য:
দীপাবলিতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয় এবং দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য স্বস্তিক প্রতীকের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এই কারণেই পুজো উপলক্ষে লোকেরা তাদের বাড়িতে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করে। স্বস্তিক চিহ্নের অর্থ হল মঙ্গল ও শুভতার প্রতীক। স্বস্তিক একটি প্রতীক যা প্রতিটি শুভ কাজে তৈরি হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, নিজের বাড়িতে স্বস্তিক প্রতীক তৈরি করা অত্যন্ত শুভ ও শুভ বলে মনে করা হয়।
সময় সাবধান:
পৌরাণিক গ্রন্থ অনুসারে, স্বস্তিক তৈরি করা উচিৎ চন্দন বা কুমকুম দিয়ে। স্বস্তিকা তৈরি করার সময় মনে রাখবেন যে স্বস্তিক সবসময় ঘড়ির কাঁটার দিকে তৈরি করা উচিৎ। বানাতে গিয়ে যদি একটুও ভুল হয়ে যায় তাহলে এই চিহ্নটিকে অশুভ মনে করা হয়, তাই খুব সাবধানে তৈরি করুন।
No comments:
Post a Comment