এসব পাখি ঘরে দারিদ্র্য নিয়ে আসে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ নভেম্বর : জ্যোতিষশাস্ত্রে, জীবনের সাথে সম্পর্কিত অনেক বিষয়কে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, পাখি ও পশুপাখিও মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। আসলে জ্যোতিষশাস্ত্রেও পশু-পাখিকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, কিন্তু অনেক পশু-পাখি আছে যা একজন মানুষকে ধনী করে আবার অনেককে গরীবও করে।
এতদিনে আপনি নিশ্চয়ই অনেকবার দেখেছেন যে বেশিরভাগ বাড়িতেই পশু-পাখি বাসা বানায়, কিন্তু কিছু পশু-পাখিকে অশুভ মনে করা হয়। যদি সে ঘরে আশ্রয় দেয় বা ঘরে প্রবেশ করে তবে দারিদ্র্যের লক্ষণ রয়েছে। আজ আমরা আপনাকে জানাতে যাচ্ছি যে কোন কোন পাখির ঘরে প্রবেশ করা জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে অশুভ, তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক-
বাদুড়:
বাদুড় যদি কোনও ব্যক্তির বাড়িতে আসতে শুরু করে বা নিজের ঘর তৈরি করতে শুরু করে তবে তা অশুভ বলে বিবেচিত হয়। আসলে, বাদুড় এমন একটি পাখি যা একাকী এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত জায়গায় বাস করে। যদি এটি কোনও বাড়িতে আসে তবে এটি দারিদ্র্যের লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। তাছাড়া বাদুড় যদি কোনো বাড়িতে বাসা বাঁধে তাহলে তাও অশুভ বলে বিবেচিত হয়। আসলে যে বাড়িতে বাদুড়ের বাসা থাকে সেই বাড়িতে শুরু হয় আর্থিক সংকট।
শাস্ত্র বিশ্বাস করলে ঘরে দারিদ্র্য বিরাজ করে। শুধু তাই নয়, এটাকে দারিদ্র্যের লক্ষণ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। বাদুড় ঘরে ঢুকেছে। আর্থিক সংকটে পড়তে হয় তার পরিবারের সদস্যদের। সে যতই পরিশ্রম করুক না কেন সে সফলতা অর্জন করতে পারে না। এ ছাড়া সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।
আসলে, বাদুড় যখন ঘরে ঢুকেছে, তখন বাড়ির লোকজনকে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে। বাড়িতে এ পাখি প্রবেশের কারণে শুরু হয় আর্থিক ক্ষতি। একই সঙ্গে অর্থের সংকটও রয়েছে।
মৌমাছির মৌচাক অশুভ:
এ ছাড়া বাড়িতে মৌমাছিরা মৌচাক তৈরি করলে তাও অশুভ লক্ষণ নির্দেশ করে। বলা হয়, বাড়ির সদস্যদের সাবধানে থাকতে হবে তার। এরা যে কোনো বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে, তাই কোনো বাড়িতে বাদুড়ের বাসা বা বাদুড় আসতে শুরু করলে বা কোনো মৌমাছি নিজের মৌচাক তৈরি করে ফেললে তা অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।
No comments:
Post a Comment