অগ্নুৎপাতের কারণে উৎপত্তি এই জিনিসের
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ নভেম্বর : জাপানের কাছে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে। তাও স্বাভাবিক উপায়ে। জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ১০০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ডুবো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর অগ্নুৎপাতের কারণে এত বেশি ধ্বংসাবশেষ বেরিয়ে এসেছে যে তা থেকে একটি নতুন দ্বীপ তৈরি হয়েছে। যা আকারে কমপক্ষে ২০০ মিটার লম্বা।
এই দ্বীপটি আইওটো দ্বীপের উপকূল থেকে একটু দূরে। আগে ইওটোকে ইওজিমা বলা হত। গত ১ নভেম্বর প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর এই দ্বীপটি তৈরি হয়। বর্তমানে ইওটোতে জাপানী নৌবাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
ঘাঁটিতে বসবাসকারী নৌসেনারা জানান, তারা প্রথমে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। এর পর তিনি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সমুদ্রে এই দ্বীপটি তৈরি হতে দেখেন। জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে ২১ অক্টোবর থেকে ইওটো দ্বীপের চারপাশে হালকা ভূমিকম্প হচ্ছে। কিন্তু জলের নিচের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হবে এমনটা আশা করা হয়নি।
এরপরই আসে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খবর।আন্ডারওয়াটার আগ্নেয়গিরির গর্তের কাছে তৈরি হয়েছে এই নতুন দ্বীপ। জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে আগ্নেয়গিরিটি গর্তের ভিতর থেকে প্রচুর পরিমাণে পাথর, মাটি এবং লাভা ফেলেছে, যার কারণে এইগুলি সমুদ্রের পৃষ্ঠে জমা হতে শুরু করেছে। পরে তা সমুদ্রের উপর দৃশ্যমান হয়, দ্বীপের মতো।
এর আগেও জাপানের আশেপাশে কিছু দ্বীপের আবির্ভাব ঘটলেও খারাপ সামুদ্রিক আবহাওয়ার কারণে সেগুলো হারিয়ে গেছে। যেখানে এখন নতুন দ্বীপ গঠিত হয়েছে, সেখানে ১৯৮৬ সালে এমন একটি দ্বীপ তৈরি হয়েছিল। এরপর থেকে এখানে কোনো দ্বীপ তৈরি হয়নি। সাগরের নিচে যে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল তা ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে। আরও ধোঁয়া, ছাই ও লাভা বের হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
চলতি বছরের শুরুতে জাপানের আশপাশের এলাকাগুলো নিয়ে গবেষণা করে মানচিত্র তৈরি করা হয়। যেখানে ৭০০০টি নতুন দ্বীপ আবিষ্কৃত হয়েছে। এই ধরনের জরিপ ৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরিচালিত হয়েছিল। তবে নতুন এই দ্বীপ তৈরির ফলে জাপানের সীমান্তে কোনো প্রভাব পড়বে না।
No comments:
Post a Comment