দীপাবলিতে ঘরকে সাজান এভাবে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ৩১ অক্টোবর : দীপাবলিতে, সবকিছু আলোকসজ্জায় ঝলমল করে। আমরা প্রায় এক মাস আগে থেকেই ঘর পরিষ্কার, রং করা ও সাজানোর প্রস্তুতি শুরু করি। এবার দীপাবলি পালিত হবে ১২ই নভেম্বর, যার মানে এই খুশির উৎসবের আর মাত্র ১১ দিন বাকি। আসলে, বাড়ির সাজসজ্জার জন্য বাজারে অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে লাইট থেকে শুরু করে শো-পিস এসব জিনিসের দামও অনেক বেশি। কিছু টিপসের সাহায্যে বাজেটের মধ্যেই দীপাবলিতে ঘরকে সুন্দর করে সাজাতে পারেন-
দীপাবলিতে ঘর সাজাতে চাইলে ঘরে রাখা কিছু জিনিস ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে কাজ শুধু বাজেটের মধ্যেই হবে না, পুরনো জিনিসগুলোকে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন-
এভাবে সোফার জন্য নতুন কুশন কভার প্রস্তুত করুন:
সোফার জন্য কুশন কভার বেশ ব্যয়বহুল। এ জন্য বাড়িতে পড়ে থাকা পুরনো শাড়ি ও দোপাট্টা ব্যবহার করতে পারেন। শুধু এর জন্য পুরনো শাড়ি বা ওড়না কিনতে হবে যাতে জরি আছে। পুরনো ব্লাউজ থেকে ট্যাসেলগুলি বের করুন। এবার শাড়ি বা ওড়নার কাপড় থেকে কুশন কভার তৈরি করুন এবং শাড়ি থেকে বের করা জরি ও ট্যাসেল দিয়ে সাজান। জরি না থাকলে বাজার থেকে কিনে নিতে পারেন, খুব বেশি দামও হবে না।
পুরনো মাটির পাত্র এবং বোতল ব্যবহার করুন:
বাড়ির আশেপাশে যদি পুরনো ছোট হাঁড়ি বা কলস পড়ে থাকে তবে সেগুলিকে পুঁতি এবং জরি দিয়ে সাজান, এর জন্য সামান্য আঠার প্রয়োজন হবে। একইভাবে, বর্জ্য বোতলগুলিও রঙ করুন এবং এই সমস্ত জিনিস তোড়া হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।
দেয়াল একটি নতুন চেহারা দিন:
যদি পেইন্টিং বা এমব্রয়ডারির কাজ জানেন তবে ঘরেই দেয়ালের জন্য পেইন্টিং তৈরি করতে পারেন এবং পর্দায় এমব্রয়ডারি করে নতুন রূপ দিতে পারেন। এটি আপনার বাজেটের মধ্যেও থাকবে এবং ঘরকে দেবে নতুন লুক। এর জন্য আপনি অনলাইন ভিডিও থেকে টিপসও নিতে পারেন।
ফুল সাজানোর সেরা উপায়:
দীপাবলি হলে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো অনিবার্য। এটি আপনার বাড়ি সাজানোর সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী উপায় এবং ফুল দিয়ে সাজাতে আপনার খুব বেশি খরচ হবে না। এর জন্য, স্থানীয় পাইকারের কাছ থেকে হলুদ এবং কমলা গাঁদা একসাথে কিনুন এবং আম এবং অশোক পাতা মিশিয়ে সাজানোর জন্য একটি বিপরীত মালা প্রস্তুত করুন।
আলপনা তৈরি করতে ভুলবেন না:
দীপাবলিতে উঠান-দরজায় আলপনা না তৈরি হলে তা অসম্পূর্ণ মনে হয়। তাই দীপাবলিতে আলপনা দিন। আজকাল বাজারে আলপনা তৈরির জন্য ডিজাইন করা জাল পাওয়া যাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment