মৃত্যুর কত দিন পর আত্মা নতুন শরীর পায়?
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : গরুড় পুরাণকে হিন্দু ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে এটির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।সাধারণত, পরিবারের কোনো সদস্য বাড়িতে মারা গেলে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয় বা পাঠ করানো হয়।
গরুড় পুরাণের অধিপতি দেবতা হলেন শ্রী হরি বিষ্ণু। ভগবান বিষ্ণু তাঁর বাহন পাখি রাজা গরুড়কে জন্ম, মৃত্যু ও পুনর্জন্ম সংক্রান্ত অনেক গভীর রহস্যের কথা বলেছেন। ভগবান বিষ্ণু এবং গরুড়ের মধ্যে কথোপকথনের এই সিরিজটিকে গরুড় পুরাণ বলা হয়।
গরুড় পুরাণে জন্ম, মৃত্যু, পাপ ও পুণ্য, মোক্ষ, কর্ম, স্বর্গ ও নরক, পুনর্জন্ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কারও মৃত্যুর পরে কেন গরুড় পুরাণ পাঠ করা প্রয়োজন এবং এতে আত্মা কী উপকার পায় তাও এটি ব্যাখ্যা করে-
কত দিন পর আত্মা নতুন শরীর পায়:
গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর পরে আত্মা অবিলম্বে একটি নতুন দেহ গ্রহণ করে। অর্থাৎ আত্মা দ্বিতীয় জন্ম নেয়। কিন্তু এটা সব আত্মার সাথে ঘটে না। কিছু আত্মার অন্য দেহ ধারণ করতে তিন দিন আবার কারো কারো ১০-১৩ দিন সময় লাগে। তাই কারো দ্বিতীয় জন্ম হয় মাস দেড়েক পরেও। তারপর কিছু আত্মা আছে যাদের ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়। প্রকৃতপক্ষে, কোন বয়সে এবং কত দিন পরে মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় জন্ম হবে, তা নির্ভর করে তার কর্ম এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা সম্পাদিত আচার-অনুষ্ঠানের উপর।
পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যুর পর বাড়িতে গরুড় পুরাণ শোনা জরুরি কেন:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে আত্মা মৃত্যুর পর ১৩ দিন বাড়িতে থাকে এবং এই সময়ের মধ্যে যদি বাড়িতে গরুড় পুরাণ পাঠ করা হয় তবে আত্মাও তা শ্রবণ করে, যার কারণে এটি স্বর্গ, নরক, পতনের মতো পর্যায় থেকে রক্ষা পায়।
মৃত্যুর পর আত্মার পরবর্তী যাত্রা কী হবে এবং তাকে কী কী পথ অতিক্রম করতে হবে? গরুড় পুরাণেও এর উল্লেখ আছে।
গরুড় পুরাণে শুধু মৃত্যুর পরেই নয়, মৃত্যুর আগেকার পরিস্থিতির কথাও বলা হয়েছে। তাই মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদেরও এই পুরাণটি মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিৎ।
গরুড় পুরাণ এমন একটি গ্রন্থ, যা ভক্তি, পুণ্যকর্ম ও সৎকর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে। এটি শ্রবণ করে এবং এতে বর্ণিত বিষয়গুলিকে একত্রিত করে, মানুষ মৃত্যুর পরে মুক্তির পথ অর্জন করে।
No comments:
Post a Comment