এই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন, শীত কাটবে ভাল মতো
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৮ অক্টোবর : আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিৎ। এই আয়ুর্বেদিক জিনিসগুলি খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন-
ঠান্ডা বাড়ার সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। এমতাবস্থায় এমন কিছু খাওয়া উচিৎ যাতে শীতটা মজা করে কাটানো যায়।
অক্টোবর শুরু হয়েছে। শীত আসছে। এই ঋতুতে স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সবার আগে ঋতু অনুযায়ী খাবার হতে হবে। কারণ ঠাণ্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। এমতাবস্থায় এমন কিছু খাওয়া উচিৎ যাতে শীতটা মজা করে কাটানো যায়।
শুধু গরম খাবার :
শীতে ঠাণ্ডা স্যালাড না খেয়ে তা গরম করে স্যুপ তৈরি করুন। যতটা সম্ভব দুধ, ঘি, ডিম, মূল শাকসবজি, বাদাম এবং বীজের মতো জিনিসগুলি গ্রহণ করুন। এটি শরীরের সুরক্ষা প্রদান করে এবং চর্বি নিরোধক একটি স্তর তৈরি করতে সাহায্য করে।
দুধে জায়ফল যোগ করে পান করুন:
শীতের মৌসুমে যদি শান্তিতে ঘুমাতে চান, তাহলে ঘুমনোর আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি জায়ফল মিশিয়ে পান করুন। এতে অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে এবং ভালো ঘুম হবে। যার কারণে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
গোল মরিচ ব্যবহার করুন:
এটি খেলে পেটের গ্যাস থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। শীত মৌসুমে এটি হজমের জন্য খুবই উপকারী। সকালের চায়ে দারুচিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তাই এই মৌসুমে গোল মরিচ, হলুদ এবং দারুচিনির মতো মশলা ব্যবহার করা উচিত।
খাবারে মশলার ব্যবহার:
ঠান্ডার মৌসুমে লবণ, আদা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, কালো গোলমরিচ, রসুন, পেঁয়াজ ও অরিগানো মশলা সুষমভাবে ব্যবহার করতে হবে। এটি ভারী খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা হয় না।
চায়ে দারুচিনির ব্যবহার:
আমরা প্রায়ই ঠান্ডা মৌসুমে চা পান করি। শীতকালে হাত পা ঠান্ডা থাকলে চা বানানোর সময় তাতে মাত্র ১/৪ টুকরো দারুচিনি মেশান। এতে ডিমুলসেন্ট নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়, যা কফ দোষকে প্রশমিত করে গলা প্রশমিত করতে কাজ করে।
ঘি ও নারকেল তেল:
ঠাণ্ডা মৌসুমে ঘি ও নারকেল তেল খাওয়াটাও স্বাস্থ্য অনুযায়ী হওয়া উচিৎ। এই ঋতুতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে এবং সুস্থ রাখতে ভালো মানের তেল যেমন ঘি, নারকেল তেল যতটা সম্ভব খাবারে ব্যবহার করতে হবে।
No comments:
Post a Comment