চেপাউক স্টেডিয়ামের ইতিহাস
ব্রেকিং বাংলা বিনোদন ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরু হয়েছে। মুত্তিয়া আন্নামালাই চিদাম্বরম স্টেডিয়াম যাকে এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম বা চেপাউক স্টেডিয়াম নামেও জানা যায়। এটি একটি সাধারণ স্টেডিয়াম নয়। এটি ইতিহাসের সাথে যুক্ত। আসুন এই স্টেডিয়াম এবং এর স্তম্ভগুলির বিশেষ গল্প জেনে নেই-
দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেডিয়াম:
চেপাউক স্টেডিয়াম হল কলকাতার ইডেন গার্ডেনের পরে দেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম স্টেডিয়াম। এটি ১৯১৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এবং টিএনসিএ প্রধান এম এ চিদাম্বরম চেত্তিয়ারের নামে। এটি তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ডও। ১৯৩৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এখানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে, ১৯৩৬ সালে এখানে প্রথম রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলা হয়েছিল এবং ১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম টেস্ট জয় হয়েছিল।
নবাবদের সাথে সম্পর্কিত এই স্টেডিয়ামের ইতিহাস:
চেপাউক স্টেডিয়াম একসময় আর্কটের নবাবের প্রাসাদের মাঠ ছিল। প্রকৃতপক্ষে, চেপাউক প্রাসাদ এই স্টেডিয়ামের বাইরে অবস্থিত, যেটি ১৭৬৮ থেকে ১৮৫৫ সাল পর্যন্ত আর্কটের নবাবের সরকারী বাসভবন ছিল। ১৮৫৯ সালে, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি একটি নিলামে চেপাউক প্রাসাদটি অধিগ্রহণ করেছিল, তারপর ১৮৬৫ সালে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে এর প্রাঙ্গনে একটি প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হবে। সেই প্যাভিলিয়নটি ১৮৬৬ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল, কিন্তু ১৯৮২ সালের মধ্যে এটিকে একটি স্টেডিয়ামে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং ১৯১৬ সালের মধ্যে এখানে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছিল।
তিনটি স্তম্ভ কেন বিশেষ:
এই স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার সাথে সাথে এর প্রধান ফটকে তিনটি ইন্দো সারাসেনিক স্টাইলের স্তম্ভ দেখতে পারা যাবে। এগুলোকে চেপাউক প্রাসাদ মাঠের শেষ নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়। কথিত আছে যে এই স্তম্ভগুলি নবাব মোহাম্মদ আলী খান ওয়ালজাহের শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এগুলোর উপর খোদাই করা সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন এগুলো একটি প্রাসাদের অংশ ছিল।
No comments:
Post a Comment