কাতারে বদলাতে পারে নাগরিকদের ভাগ্য!
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর : কাতারের একটি আদালত সেখানে বসবাসরত আট ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে, সবার মনে একটাই প্রশ্ন যে, কাতার কি শুধু প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসারদের ফাঁসি দেবে? তবে কাতারের আদালতের এমনই সিদ্ধান্তের কথা যেখানে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়।
ঘটনাটি ৯ বছরের। প্রাক্তন কূটনীতিক কেপি ফ্যাবিয়ান একটি চ্যানেল থেকে নয় বছরের পুরনো ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ফিলিপাইনের তিন নাগরিককেও একইভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই নাগরিকদের একজন কাতার জেনারেল পেট্রোলিয়ামে কাজ করতেন। বাকি দুজন কাতার এয়ারফোর্সে ছিলেন।
অভিযোগ ছিল, বিমানবাহিনীতে কর্মরত উভয় নাগরিকই কাতার জেনারেল পেট্রোলিয়ামে কর্মরত নাগরিককে গোয়েন্দা তথ্য দিচ্ছিলেন, যেখান থেকে তা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়েছিল। এটাকে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে অভিহিত করা হয়েছে। অতএব, কাতার পেট্রোলিয়ামে কাজ করা একজন ফিলিপিনো নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, এবং দুই বিমান বাহিনীর নাগরিককে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
ফিলিপাইন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে আইনি বিকল্প নিয়ে বিষয়টির দায়িত্ব নেয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে কাতারের আদালতে আপিল করা হয় এবং আদালত মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বিমান বাহিনীর ওই দুই জনের সাজাও ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে।
ভারত সরকারও কাতারের আদালতের আট ভারতীয় নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি অবস্থান নিয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কাতারের কারাগারে বন্দী এই নাগরিকদের সমস্ত আইনি সহায়তা দেওয়া হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যে বিকল্পগুলি পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা হবে। ভারত সরকার এক্ষেত্রে পিছপা হবে না। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
কাতার যাদের সাজা দিয়েছে তারা হলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ঠ, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল এবং নাবিক রাগেশ। গত বছরের আগস্টে কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা তাকে গ্রেফতার করে। এই ভারতীয়রা প্রায় ২০ বছর ধরে নৌবাহিনীতে কাজ করেছিল। এই ব্যক্তিরা নৌবাহিনীতে প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন।
No comments:
Post a Comment