শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা, বোঝা যাবে যেভাবে
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ অক্টোবর : শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্নতার ঘটনা গত কয়েক বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতার ঘটনা গত ৫-৬ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।আসুন জেনে নেওয়া যাক শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা বৃদ্ধির কারণ কী এবং তা মোকাবেলার উপায় কী-
কেন শিশুরা বিষন্নতার শিকার হচ্ছে:
আজকের দ্রুত জীবনযাপন ও পরিবর্তিত পরিবেশের কারণে শিশুদের ওপর মানসিক চাপও বাড়ছে। এ ছাড়া মোবাইল ও ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহারও শিশুদের ওপর প্রভাব ফেলছে। মানসিক চাপের পারিবারিক পরিবেশ ও বিচ্ছিন্ন বোধ, স্কুলে পড়ালেখার বোঝা ও পরীক্ষার ভয়, শিশুদের মানসিক চাহিদার প্রতি অবহেলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার। হয়রানির শিকার হচ্ছে। এবং এর জন্য শিশুরা বিষণ্নতার শিকার করা।
শিশুদের মধ্যে বিষণ্নতা নির্দিষ্ট লক্ষণ দ্বারা চিহ্নিত করা যেতে পারে:
দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহের অভাব – খেলাধুলা, পড়া ইত্যাদি ভালো লাগে না।
হতাশা এবং দুঃখের অনুভূতি - সর্বদা দু:খিত এবং বিষণ্ণ থাকা
ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব - স্কুলে যেতে অস্বীকার
ঘুম এবং ক্ষিদে পরিবর্তন - কম বা বেশি ঘুম এবং ক্ষিদে
রাগ এবং কান্নার প্রবণতা - কান্নাকাটি বা ছোট ছোট বিষয়ে রেগে যাওয়া
সামাজিক প্রভাব পরিহার - বন্ধুদের সাথে দেখা করতে না চাওয়া
মনোযোগের অভাব - স্কুলের কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা
যদি এই লক্ষণগুলি ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে তবে শিশুর বিষণ্নতা হতে পারে।
কীভাবে শিশুদের বিষণ্নতা থেকে বের করে আনা যায়:
শিশুর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং তাকে বোঝার চেষ্টা করুন।
শিশুকে ভালবাসা এবং ইতিবাচক পরিবেশ দিন। তার অর্জনের প্রশংসা করুন।
শিশুকে নিয়মিত খেলা, পড়া এবং খাওয়ার মতো দৈনন্দিন রুটিন তৈরি করতে সহায়তা করুন।
শিশুকে পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে থাকতে উত্সাহিত করুন।
শিশুকে ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করতে বলুন।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসা শুরু করুন।
No comments:
Post a Comment