সাপের কামড় শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে!
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ১৪ সেপ্টেম্বর : প্রতি বছর প্রায় ৫.৪ মিলিয়ন মানুষকে সাপ কামড়ায়, যার মধ্যে ১.৮ থেকে ২.৭ মিলিয়নকে বিষধর সাপ কামড়ায়। প্রতি বছর প্রায় ৮১,৪১০ থেকে ১৩৭,৮৮০ মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষি শ্রমিক এবং শিশুরা।শিশুদের শরীর ছোট, তাই তারা বেশি আক্রান্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, সারা বিশ্বে প্রতি বছর সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা খুব বেশি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে শুধুমাত্র ভারতেই সাপের কামড়ে ১২ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য সুবিধা না থাকায় সাপের কামড়ের সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া বড় সমস্যা। তাছাড়া অনেক দেশেই সাপের কামড়ের পরিসংখ্যান সংগ্রহের ব্যবস্থা নেই। ডব্লিউএইচও বলেছে যে সাপের কামড়ে মৃত্যু রোধ করতে, বিষ-বিরোধীর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সুবিধা বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে।
সাপের কামড়ে শরীরে কী হয়:
সাপের কামড় শরীরের উপর অনেক বিরূপ প্রভাব ফেলে। কামড়ের স্থানে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং সেখানে ফুলে যায়। সাপের বিষ রক্তে দ্রবীভূত হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে পৌঁছে যা রক্তপাত, পেশী দুর্বলতা এবং পক্ষাঘাতের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। ফুসফুস, হার্ট, কিডনি এবং মস্তিষ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিও বিষ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। অনেক সময় কামড়ানো অংশ কেটে ফেলতে হয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে সাপের কামড়ে মৃত্যুও হতে পারে।
WHO পদক্ষেপ নিয়েছে:
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সাপের কামড়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। WHO এই সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সাপের কামড়ের সমস্যা নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি একটি দল গঠন করেছেন। এই দলটি ২০৩০ সালের মধ্যে সাপের কামড়ে মৃত্যু এবং অক্ষমতা হ্রাস করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সাপের কামড় মোকাবেলা করার জন্য WHO একটি পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে রয়েছে মানুষকে সচেতন করা, সঠিক চিকিৎসা প্রদান, হাসপাতাল শক্তিশালী করা এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান।
No comments:
Post a Comment