আদিত্য এল১ মিশন নিয়ে অজানা তথ্য
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর : আদিত্য এল১ মিশন মহাকাশে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রতি মুহূর্তের সাথে, আদিত্য মহাকাশযান তার নতুন বাড়ি ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্ট ১-এর কাছাকাছি আসছে। আদিত্য L১ মহাকাশযান থেকে ২রা সেপ্টেম্বর মহাকাশের জন্য যাত্রা করেছিল। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর এখন সূর্য নিয়ে গবেষণা করতে চায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। এই কথা মাথায় রেখেই মহাকাশে লঞ্চ করা হয়েছে আদিত্য মিশন।
মহাকাশের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টগুলি হল সেই স্থানগুলি যেখানে দুটি বড় বস্তুর মাধ্যাকর্ষণ তাদের মধ্যে একটি ছোট বস্তুকে ধরে রাখে। এই কারণে, এই জায়গাটি মহাকাশযানের জন্য ভাল, কারণ এটির জন্য ন্যূনতম ফিউজ প্রয়োজন। পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে পাঁচটি ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট (L১ থেকে L৫) রয়েছে, যার মধ্যে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ১ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকে সূর্যকে কোনো সমস্যা ছাড়াই পর্যবেক্ষণ করা যায়।
আদিত্য L১ মিশন পৃথিবী-সূর্যের L১ বিন্দুর কাছে 'হ্যালো অরবিটে' ঘুরবে। পৃথিবী থেকে এই বিন্দুর দূরত্ব প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। হ্যালোর কক্ষপথের আকার এমন যে এটি নিশ্চিত করে যে এটি পৃথিবী থেকে ক্রমাগত দেখা যায়। এই ভারতীয় মিশনের উদ্দেশ্য হল সূর্যের আলোকমণ্ডল, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং করোনার উপর নজর রাখা, যাতে এর সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীতে পাঠানো যায়।
আদিত্য মিশন লাগারেঞ্জ পয়েন্টে একা থাকবে না। তার সঙ্গে 'ইন্টারন্যাশনাল সান-আর্থ এক্সপ্লোরার' (ISEE-৩), জেনেসিস মিশন, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির LISA পাথফাইন্ডার, চীনের Chang'e-৫ Lunar Orbiter এবং NASA-এর 'Gravity Recovery and Interior Recovery (GRAIL) মিশন'ও থাকবে। বর্তমান। বর্তমানে নাসার উইন্ড মিশন সূর্য নিয়ে গবেষণা করছে। এর মাধ্যমে পাঠানো তথ্য অনেক মহাকাশ অভিযানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যে ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্টে আদিত্য মহাকাশযান যাচ্ছে। আশেপাশে কোনো গ্রহ থাকবে না। শুধু মহাকাশের বিশাল অন্ধকার সেখানে উপস্থিত থাকবে। তবে, ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব সত্ত্বেও আদিত্য মহাকাশযান পৃথিবীর কাছাকাছি থেকে যাচ্ছে। এর কারণ হল পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। এই সময়ে আদিত্য কিছু গ্রহাণু এবং মহাকাশ ধূলিকণার মুখোমুখি হতে চলেছে। উজ্জ্বল সূর্য আর অন্যদিকে লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৃথিবী থাকবে।
No comments:
Post a Comment