নিম করোলি বাবা জীবন সম্পর্কে কী বলেছেন?

 

নিম করোলি বাবা জীবন সম্পর্কে কী বলেছেন?

মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৮ অক্টোবর: নিম করোলি বাবা ভগবান হনুমানের একজন মহান ভক্ত ছিলেন।  কেউ কেউ তাকে হনুমানের অবতার বলেও মনে করেন।  তিনি ২০ শতকের মহান সাধকদের একজন ছিলেন।  উত্তরাখণ্ডের কাইঞ্চি ধামে অবস্থিত তাঁর আশ্রমে শুধু দেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন।  তার ভক্তদের মধ্যে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ থেকে শুরু করে অ্যাপলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস পর্যন্ত নাম রয়েছে।

 নিম করোলি বাবা মানুষকে সাহায্য করা, দরিদ্র ও অসহায়দের সেবা করা এবং ধর্মীয় উপাসনা করার জন্য পরিচিত ছিলেন।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিম করোলি বাবার আশীর্বাদ যিনি পান, তাঁর সমস্ত ইচ্ছা শীঘ্রই পূরণ হয়।  বাবার সমগ্র জীবন মানবতার সেবায় নিবেদিত ছিল।তিনি মানুষকে খুব সহজ ও আদর্শ বাণী দিতেন।  জীবন সম্পর্কে নিম করোলি বাবার চিন্তাভাবনা ছিল একেবারেই আলাদা।  তার বলা জিনিসগুলি ভারী দুঃখ থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।  চলুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-

 নিম করোলি বাবা বলেছিলেন যে জীবনে যত বড় সমস্যাই আসুক না কেন, মানুষকে কখনই আতঙ্কিত করা উচিৎ নয়।  বাবা বলেছিলেন, সময় যতই খারাপ হোক না কেন একদিন অবশ্যই পরিবর্তন হবে।  তাই কঠিন সময়েও শান্ত ও সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা প্রতিটি মানুষেরই থাকা উচিৎ। যখন খারাপ সময় আসে, ধৈর্য ধরতে হবে এবং সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।  বিশ্বাস থাকা উচিৎ যে সময় এখন ঠিক থাকলেও আগামীকাল ভালো হবে।  প্রত্যেক মানুষেরই ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকা উচিৎ।

 নিম করোলি বাবা বলেছিলেন যে প্রত্যেক উপার্জনকারী ব্যক্তি ধনী নয়।  একজন প্রকৃত ধনী ব্যক্তি যিনি জানেন কীভাবে অর্থকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হয়?  বাবা বিশ্বাস করতেন যে শুধু টাকা উপার্জন করেই কেউ ধনী হয় না, কিন্তু যে টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাকেই ধনী বলা হয়।  তিনি বলেন, প্রত্যেকের উচিৎ কিছু অর্থ ব্যয় করে অসহায়দের সাহায্য করা।  এতে ভগবানের আশীর্বাদ আসে এবং ঘরে টাকা আসতে থাকে।  ধর্মীয় কাজেও অর্থ ব্যয় করতে হবে।

 নিম করোলি বাবা বলেছিলেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন হনুমানের পূজো করেন, হনুমান তাঁর আশীষ দেন তাঁকে।  ভগবান হনুমানের আরাধনা করলে আপনাআপনিই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।  বজরঙ্গবলী ভক্তদের জীবনে আসা সমস্ত বাধা দূর করেন।  তিনি বলেন, প্রত্যেকের উচিৎ প্রতিদিন হনুমান চালিসা পাঠ করা।