পাকিস্তানের লোকজন এদিন ওড়ায় ঘুড়ি, এর পেছনে রয়েছে এক কারণ
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৬ সেপ্টেম্বর : পাকিস্তানে ঘুড়ি ওড়ানো একেবারেই আলাদা ভাবে পালিত হয়। এর পেছনে রয়েছে খুবই মজার গল্প। লাহোর থেকে করাচি পর্যন্ত পুরো পাকিস্তানে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এ দেশে যেভাবে মকর সংক্রান্তি পালিত হয়, পাকিস্তানে সেভাবে পালিত হয় না। পাকিস্তানে ঘুড়ি ওড়ানোর দিনটি পালিত হয়। চলুন জেনে নেই পাকিস্তানে কবে ওড়ানো হয় ঘুড়ি-
এই নামে পালিত হয়:
ইউনেস্কোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানবাসী ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব পালন করে দারুণ আড়ম্বরে। বসন্তে এই উৎসব পালিত হয়। তাই সেখানকার মানুষ একে বসন্ত ঘুড়ি উৎসবও বলে। বসন্ত ঋতুতে প্রকৃতির সৌন্দর্য এই উৎসবের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যা ঋতুর সূচনা উপলক্ষে আকাশে রঙিন ঘুড়ি উড়িয়ে উদযাপন করা হয়। ঘুড়ি বিভিন্ন আকারের হয়, তাদের মধ্যে কিছু আল্লাহর জন্য বিশেষ বাণী লেখা থাকে।
ঘুড়িতে লোকেদের ইচ্ছা, প্রার্থনা এবং ভক্তি লেখে এবং আকাশে উড়ে যায়। বসন্ত ঘুড়ি উড়ানো উৎসব আসলে একটি হিন্দু উৎসব যা পাঞ্জাব প্রদেশের লোকেরা শুরু করেছিল, কিন্তু যত দিন যায় এই উৎসবটি দেশের মানুষের মধ্যে সাধারণ হয়ে ওঠে এবং এখন এটি একটি উৎসব যা দেশটি প্রতি বছর উদযাপন করে।
পাকিস্তানে পালিত ঘুড়ি ওড়ানোর একটি উপাখ্যান রয়েছে। কথিত আছে যে লাহোরে বসবাসকারী এক হিন্দু ছেলে, বালক বীর হাকিকতের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাঁকে স্মরণ করে ঘুড়ি উড়ানো হয়। এক সময় লাহোরে এক মৌলভীর বাড়িতে কিছু ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করত। তাদের মধ্যে কেউ ছিল হিন্দু আবার কেউ মুসলমান। কোন বিষয় নিয়ে শিশুদের মধ্যে ঝগড়া হয়, এরপর মুসলিম ছেলেরা হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে কিছু অবমাননাকর মন্তব্য করে, এতে সেখানে উপস্থিত বীর হকিকত নামের এক ছেলেটি বলে যে, আমি যদি বিবি ফাতিমাকে নিয়ে কিছু বলি তোমাদের কেমন লাগবে? ?
মৌলভী এলে মুসলিম শিশুরা এ নিয়ে অভিযোগ করে। এরপর মৌলভীরা ফরমান জারি করেন যে হয় ওই হিন্দু শিশুকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে নয়তো তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। বীর হাকিকত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন, কিন্তু ধর্ম পরিবর্তন করেননি। সেই শিশুর স্মরণে পাকিস্তানের লোকজন ঘুড়ি ওড়ায়।
No comments:
Post a Comment