পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর, এখানে বরফ ক্রমাগত গলছে!
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর :পৃথিবীর দেশগুলো মহাকাশে অনেক গ্রহে প্রাণের সন্ধানে ব্যস্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মতো নিরাপদ এমন কোনো গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো গ্রহে প্রাণের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পৃথিবীর তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডল এমন যে মানুষ সহ সকল জীবই সহজে বসবাস করতে পারে। তবে গত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীও হুমকির মুখে পড়েছে। অ্যান্টার্কটিক সম্পর্কে সাম্প্রতিক যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তা বেশ উদ্বেগজনক। যেখানে বলা হচ্ছে এখানে বর্তমান তুষার ক্রমাগত গলে যাচ্ছে। আজ আমরা জানবো অ্যান্টার্কটিকায় বরফ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন একে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর বলা হয়-
বরফের চাদরে ঘেরা মহাদেশ:
অ্যান্টার্কটিকার নিজস্ব আবহাওয়া ব্যবস্থা রয়েছে। এটি পুরোপুরি তুষার দ্বারা বেষ্টিত। এই মহাদেশটি বরফের পুরু স্তরে আবৃত। গত কয়েক বছর ধরে বরফের চাদরে ঢাকা মহাদেশ নিয়ে বিজ্ঞানীরা ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন। কারণ এই বরফের চাদর ক্রমাগত পাতলা থেকে ছোট হয়ে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনকেই এর কারণ বলা হচ্ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। অ্যান্টার্কটিকের বরফ এভাবেই গলতে থাকলে সারা বিশ্বে এর প্রভাব পড়তে পারে।
কেন একে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটর বলা হয়:
সমুদ্রের বরফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি আয়নার মতো কাজ করে। যার কারণে আগত সৌরশক্তি প্রতিফলিত হয়। এটি সমগ্র বিশ্বের জলবায়ুকে প্রভাবিত করে। তার মানে তাপ কমানো খুবই জরুরি। সমুদ্রের বরফ পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে গেলে ঠান্ডা কমে যাবে এবং প্রচণ্ড তাপের কারণে পৃথিবীর জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই অ্যান্টার্কটিকাকে পৃথিবীর রেফ্রিজারেটরও বলা হয়। এটা ছাড়া পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। এ কারণেই বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই বিপদ ঠেকাতে।
No comments:
Post a Comment