ওজোন স্তর নিয়ে গবেষণা কী বলছে? - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Friday, 1 September 2023

ওজোন স্তর নিয়ে গবেষণা কী বলছে?




ওজোন স্তর নিয়ে গবেষণা কী বলছে?



ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর : দেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশ চাঁদ এবং মঙ্গল সহ বিভিন্ন গ্রহের সন্ধান করছে।  এসব গ্রহে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় বায়ুমণ্ডল ও বায়ু-জল অনুসন্ধান করা হচ্ছে।  বর্তমানে বসবাসের জন্য পৃথিবীর চেয়ে নিরাপদ কোনো গ্রহ খুঁজে পাওয়া যায়নি যেখানে পানি, বাতাস এবং অন্যান্য সকল উপাদান এত পরিমাণে আছে যে কোনও জীব সহজেই বেঁচে থাকতে পারে।  সেজন্য এমন অনেক ঘটনাও পর্যবেক্ষণ করা হয়, যা পৃথিবীকে প্রভাবিত করতে পারে।


 সূর্য অধ্যয়ন মিশন:

 সূর্য থেকে বের হওয়া বিপজ্জনক রশ্মি এবং তাপ নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বিগ্ন।  এই কারণেই দেশ শীঘ্রই তার আদিত্য L-১ মিশন চালু করতে চলেছে, যা পৃথিবীতে সূর্যের রশ্মির খারাপ প্রভাব কী হতে পারে তা খুঁজে বের করবে?


 পৃথিবী এমন একটি গ্রহ, যা ওজোন স্তর দ্বারা আবৃত, যা সূর্য থেকে নির্গত বিপজ্জনক রশ্মির প্রভাব দূর করে।  কিন্তু এই ওজোন স্তর শেষ হলে কী পৃথিবীর জীবনও শেষ হয়ে যাবে?


ওজোন স্তর কীভাবে কাজ করে:

 ওজোন স্তর পৃথিবী থেকে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  এটি একটি গ্যাসের হালকা স্তর।  এটি এমন একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর যা সূর্য থেকে নির্গত বিপজ্জনক রশ্মি থেকে মানুষ এবং পৃথিবীতে বসবাসকারী অন্যান্য প্রাণীদের রক্ষা করতে কাজ করে।  এ কারণে সূর্য থেকে নির্গত বিপজ্জনক অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে পৌঁছয় না।


 ওজোন ছাড়া কী হবে:

 পৃথিবীর উপর থেকে ওজোন স্তর সম্পূর্ণ অপসারিত হলে কী হবে?  এমনটা হলে অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখা যাবে, ক্যান্সারের মতো রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে শুরু করবে এবং সূর্যের বিপজ্জনক রশ্মির প্রভাব সারা বিশ্বে দেখা যাবে।  সূর্যের এই রশ্মি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।  এ ছাড়া বরফ দ্রুত গলতে শুরু করবে, যা বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটাতে পারে।  অর্থাৎ এই প্রতিরক্ষামূলক ঢাল ছাড়া পৃথিবীর জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে।


 ওজোন স্তরে গর্তের খবর গত কয়েক বছর ধরেই বেরিয়ে আসছে, যা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।  এটাকেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণ বলা হয়।  যদিও বিজ্ঞানীরা এই গর্তগুলি পূরণ করতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad