বেড়াতে যেতে পারেন পুদুচেরি
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ অক্টোবর : আমাদের দেশ দুর্দান্ত এবং অমূল্য দর্শনীয় স্থানের ভান্ডারে পূর্ণ। ঐতিহাসিক স্থান হোক বা প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ, তুষার-ঢাকা পর্বত বা সমুদ্র সৈকত, মরুভূমি থেকে সবুজ বন-সবই এদেশে আছে! এই বিস্ময়কর জায়গাগুলির মধ্যে পুদুচেরি অন্যতম। এখনও কেউ কেউ একে পন্ডিচেরি নামে চেনেন। একটা সময় ছিল যখন পুদুচেরি ছিল ফ্রান্সের উপনিবেশ। এটি ফরাসি রাজধানী নামেও পরিচিত। প্রায় ৩০০ বছর ধরে পুদুচেরির নিয়ন্ত্রণ ছিল ফ্রান্সের।
এখানকার ভাষা ও সংস্কৃতিতে এখনো ফ্রান্সের আভাস পাওয়া যায়। সুন্দর সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত পুদুচেরি শুধুমাত্র একটি পর্যটন গন্তব্য নয় আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্রও। ব্যস্ত জীবন থেকে একটি ছোট বিরতি নিতে পারেন এবং পুদুচেরিতে বেড়াতে যেতে পারেন।
কখন বেড়াতে যেতে হবে:
অন্যান্য রাজ্য থেকে পুদুচেরি একটি খুব আলাদা জায়গা। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারিকে এখানে ছুটি উদযাপনের সেরা সময় বলে মনে করা হয়। এখানে গিয়ে সত্যিই মানসিক চাপমুক্ত বোধ করবেন। পুদুচেরি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অবকাশের জায়গা।
পুদুচেরি যাওয়া যাবে যেভাবে :
সড়কপথে:
পুদুচেরির নিকটতম শহর চেন্নাই। এটি পুদুচেরি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে।পুদুচেরি একটি ভাল রাস্তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত। চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং মাদুরাই থেকে পুদুচেরি যাওয়ার জন্য বাস পাওয়া যায়।
ট্রেন ভ্রমণ:
পুদুচেরি থেকে নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হল ভিলুপুরম যা এখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে। নয়াদিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বাই থেকে আসা ট্রেনগুলি এখানে থামে।
আকাশপথে:
পুদুচেরি বিমানবন্দর লসপেটে অবস্থিত। বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই থেকে এখানে নিয়মিত ফ্লাইট আসে।
পুদুচেরিতে পৌঁছে কী করবেন:
হোয়াইট টাউন:
যদি পুদুচেরি বেড়াতে যাচ্ছেন তবে হোয়াইট টাউনে যেতে ভুলবেন না। এখানকার সাদা ও হলুদ রঙের বাড়িগুলো ফরাসি সভ্যতার আভাস দেয়। এখানে ফ্রান্স ভ্রমণের সম্পূর্ণ অনুভূতি পাবেন।
অরোভিল:
প্রতি বছর শত শত মানুষ এখানে আসে শান্তির সন্ধানে। এটি 'ভোরের শহর' নামেও পরিচিত।
প্রোমেনেড বীচ:
এগুলি ছাড়াও, স্কুবা ডাইভিং পুদুচেরির সবচেয়ে রোমাঞ্চকর এবং মজাদার জিনিসগুলির মধ্যে একটি। যদি পুদুচেরি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে অবশ্যই স্কুবা ডাইভিং করবেন।
No comments:
Post a Comment