সরকারের কাছে বিমানবাহী রণতরী ও পারমাণবিক সাবমেরিন চাইলো নৌবাহিনী, কিন্তু কেন?
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর : চীনের নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করছে। এই বিষয়ে মাথায় রেখে ভারতীয় নৌসেনাও তাদের শক্তি বাড়াতে চায়। নৌবাহিনী সরকারকে আরও একটি বিমানবাহী রণতরী, তিনটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন এবং ছয়টি ডিজেল-ইলেকট্রিক প্রচলিত সাবমেরিন তৈরি করতে বলেছে। এই সবের মাধ্যমে নৌবাহিনী তার শক্তি বাড়াতে চায়, যাতে চীনের নৌবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'আত্মনির্ভর ভারত' ভিশনের অধীনে ভারতীয় শিপইয়ার্ডে সাবমেরিন থেকে বিমানবাহী বাহক তৈরি করা হবে। বেল্ট-রোড-ইনিশিয়েটিভের ছদ্মবেশে, চীন মালাক্কা প্রণালীর কাছে কম্বোডিয়ার রিমে একটি লজিস্টিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে, বঙ্গোপসাগরের কোকো দ্বীপে একটি লিসিংনিং পোস্ট, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা ঘাঁটি, বেলুচিস্তানের গোয়াদর, ইরানের জাস্ক নৌ ঘাঁটি এবং লোহিত সাগরের জিবুতিতে একটি ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ২০২৫-২০২৬ সাল নাগাদ চীনা বিমানবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগরে টহল দেওয়া শুরু করবে। সমুদ্রে কোনোভাবেই চীন থেকে পিছিয়ে থাকতে চায় না ভারতীয় নৌসেনা। দেশের প্রথম বিমানবাহী রণতরী INS বিক্রমাদিত্য বর্তমানে চালু আছে, যখন INS বিক্রান্ত কারওয়ার নৌ ঘাঁটিতে নিয়মিত ওভারহল চলছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সেনাবাহিনীতে নতুন সাবমেরিন ও এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভারত মুম্বাইয়ের মাজাগন ডকইয়ার্ডে তিনটি ক্যালভারি শ্রেণীর সাবমেরিন তৈরির জন্য ফ্রান্সের সাথে আলোচনা করছে। ফ্রান্সও ৫০০০ টন ওজনের পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ডিজাইন ও নির্মাণ করতে প্রস্তুত। এ ছাড়া প্রজেক্ট ৭৫-এর আলোচনা ফলপ্রসূ না হলে ফ্রান্স প্রজেক্ট ৭৬ এর অধীনে সাবমেরিন ডিজাইন ও নির্মাণ করতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। প্রকল্প ৭৫ এর অধীনে ছয়টি ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিন অধিগ্রহণের পরিকল্পনা ছিল।
No comments:
Post a Comment