গণপতির অনন্য মন্দির এগুলো
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৬ অক্টোবর: গণেশ পূজো এই কয়দিন আগে হয়ে গেল। গণেশ উৎসব শুরু হয়েছিল ১৯শে সেপ্টেম্বর। দেশের কিছু গণপতির অনন্য মন্দির, এদের বিশেষত্ব চলুন জেনে নেই-
ত্রিনেত্র গণেশজি, রাজস্থান:
এই মন্দিরটি রাজস্থানের একটি বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র রণথম্ভোর ন্যাশনাল পার্কের কাছে অবস্থিত। এই মন্দিরের সাথে একটি বিশেষত্ব জড়িত। এখানে দর্শনের জন্য আসার আগে লোকেরা গণেশকে চিঠি পাঠায়। ডাকপিয়ন নিজেই এই চিঠিগুলি পৌঁছে দেন এবং ইচ্ছা পূরণ হলে লোকেরা এখানে এসে পূজো করে। মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ৮০০ বছরের পুরানো এবং এটি গোলাপী শহর জয়পুর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। দিল্লি থেকে গাড়িতে করে এখানে আসা যায়।
গড় গণেশ মন্দির, জয়পুর:
এই মন্দিরে ভগবান গণেশের মূর্তি মানুষের রূপে বিরাজমান। রাজস্থানের জয়পুরের পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দিরে ভগবান গণেশের কোনো মূর্তি নেই। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরটি রাজস্থানের রাজা দ্বিতীয় সওয়াই জয় সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সহজেই দিল্লির সারাই রোহিলা স্টেশন, নতুন দিল্লি বা পুরানো দিল্লি থেকে জয়পুর যাওয়ার ট্রেন পেতে পারেন।
কানিপাকাম গণেশ মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশ:
এখানে বাপ্পার মূর্তি জলে বিরাজমান, তাই এখানে তাঁকে জলের দেবতা হিসেবেও পূজিত করা হয়। এমনও দেখা গেছে এখানে প্রতি বছর গণেশের মূর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এই মন্দিরটি ১১ শতকে নির্মিত হয়েছিল।
চিন্তামণি গণেশ মন্দির, ইন্দোর:
এই মন্দিরের ইতিহাস প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো। এটি দেশের একমাত্র মন্দির যেখানে গর্ভগৃহে একসঙ্গে দুটি গণপতি উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও এই মন্দিরের সাথে একটি অনন্য ঐতিহ্যও জড়িত। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এখানে হলুদ নিবেদন করলে তাদের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় এবং এই প্রথা বেশ পুরনো। ভগবান গণেশ ছাড়াও এই মন্দিরে হনুমান, রাম-সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তিও রয়েছে।
No comments:
Post a Comment