মঙ্গলমূর্তি গণেশের রূপের বর্ণনা - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Tuesday 3 October 2023

মঙ্গলমূর্তি গণেশের রূপের বর্ণনা

 



মঙ্গলমূর্তি গণেশের রূপের বর্ণনা




মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৩ অক্টোবর: গণেশ চতুর্থী ১৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু আর ২৮শে সেপ্টেম্বর  বিসর্জন হবে।  সমস্ত দেব-দেবীর মধ্যে গণেশ হলেন প্রথম পূজিত দেবতা। প্রতিটি শুভ কাজে প্রথমে গণেশের পূজো করা হয়।  শুধু তাই নয়, ভগবান গণেশ হলেন আদিদেব মহাদেবের গণের সভাপতি, যার কারণে তাঁকে গণাধ্যক্ষও বলা হয়।  ভগবান গণেশ দুষ্টু, কৌতুকপূর্ণ, বুদ্ধিমান এবং শক্তিশালী।


 লম্বোদর, একন্দত, বক্রতুন্ডা, লম্বকর্ণ, সমুখ, গজাননা ইত্যাদির মতো ভগবান গণেশ অনেক নামে পরিচিত।  এই সমস্ত নামগুলি তাদের শরীরের অঙ্গগুলির উপর ভিত্তি করে ছিল।  ভগবান গণেশের শরীরের অঙ্গগুলিকে জ্ঞানের স্কুল বলা হয়, কারণ জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণা তাঁর প্রতিটি অঙ্গ থেকে আসে।  চলুন জেনে নেই তাঁর শরীর সম্পর্কে-


     বড় মাথা:

ভগবান গণেশের বড় মাথা এবং চওড়া কপাল তাঁর নেতৃত্বের ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।  একটি বড় মাথা সবসময় বড় চিন্তা করার জ্ঞান দেয়।  অঙ্গ বিজ্ঞান অনুসারে, বড় মাথার মানুষদের তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা থাকে।


     ছোট চোখ:

 ভগবান গণেশের মুখ বড় এবং চোখ ছোট।  ছোট চোখ প্রতিফলিত।  একাগ্রতা এবং গুরুতর প্রকৃতি দেখায়।  এটি আমাদের ধ্যান করার জ্ঞান দেয়।


     বড় কান:

ভগবান গণেশের বড় কান চমৎকার শ্রবণশক্তির প্রতীক।    এটা বিশ্বাস করা হয় যে যাদের কান বড় তারা ভাগ্যবান এবং দীর্ঘজীবী হয়।


লম্বা শুড় :

ভগবান গণেশের লম্বা শুড়, আমাদের সবসময় সক্রিয় থাকতে শেখায়।  তাদের কাণ্ড সর্বদা চলমান যা সর্বদা সক্রিয় থাকার বার্তা দেয়।  এটি আরও ভাল দক্ষতা এবং ক্ষমতার প্রতীক।


 এক দন্ত :

শৈশবে ভগবান গণেশ এবং পরশুরামের মধ্যে লড়াই হয়েছিল, যার কারণে তাঁর একটি দাঁত ভেঙে গিয়েছিল।  এর পরে ঈশ্বরের একটি নাম ছিল একদন্ত।  কিন্তু তিনি তাঁর ভাঙা দাঁতকে কলম হিসেবে ব্যবহার করে সমগ্র মহাভারত লিখেছেন।  এ থেকে আমরা জিনিসের ভালো ব্যবহার করতে শিখি।  এছাড়া ভালোকে অবলম্বন ও মন্দকে বর্জন করতেও অনুপ্রাণিত করে।


 বড় পেট:

বড় পেটের কারণে ভগবান গণেশকে লম্বোদরও বলা হয়।  এটা আমাদের ভালো-মন্দ সব ধরনের জিনিস হজম করতে শেখায়।


 ইঁদুর:

ভগবান গণেশ তাঁর বাহন হিসাবে ইঁদুরকে বেছে নিয়েছিলেন, যা দেখায় যে তাঁর ইচ্ছার উপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।  এটা আমাদের খারাপদের জয় করতে শেখায়।


 কুড়াল:

ভগবান গণেশের হাতে একটি কুঠার রয়েছে, যা সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়ার প্রতিনিধিত্ব করে।  একই সাথে, এটি আমাদের অনুপ্রাণিত করে যে আমরা নিজেদেরকে জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত করে একমাত্র ঈশ্বরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।


 মোদক:

ভগবান গণেশ তার হাতে মোদক ধারণ করেন, যা সুখের প্রতীক।  মোদক মানে যিনি আনন্দ দেন, যা তৃপ্তি ও সুখ নিয়ে আসে।  এটি আমাদের শেখায় যে শরীর এবং মনে সন্তুষ্ট থাকা গুরুত্বপূর্ণ, তবেই জীবনের আসল আনন্দ উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad