এই স্থানে নিজের কবর দেওয়ার কথা বলে যান ঔরঙ্গজেব!
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ৩০ সেপ্টেম্বর : দেশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেগুলো কোনো না কোনো কারণে বিখ্যাত। আজও বিপুল সংখ্যক মানুষ এসব স্থানে যান তার শত বছরের ইতিহাস জানার জন্য। এদেশে এমন একটি স্থান রয়েছে, যা ইসলামে অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। এই জায়গাটি ভূমির স্বর্গ নামেও পরিচিত ছিল। এই কারণেই মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব সহ অনেক সুফি সাধক ও অভিজাতকে এই স্থানে সমাহিত করা হয়েছিল।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের অবস্থা:
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খুলদাবাদকে ভূমিতে স্বর্গের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এখানে ঔরঙ্গজেবের সমাধিটি জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এবং এখন এএসআই দ্বারা দেখাশোনা করা হয়। এখন প্রশ্ন হলো ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর কেন শুধু খুলদাবাদে তার দেহ কবর করা হল?
অনেক সুফি সাধকের সমাধি:
প্রকৃতপক্ষে, খুলদাবাদকে সমস্ত সুফি সাধকগণ একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে মনে করতেন। এখানে অনেক সুফি সাধকের কবর নির্মিত হয়েছে, ঔরঙ্গজেবের সুফি সাধক সৈয়দ জয়নুদ্দিনের কবরও এখানে। ঔরঙ্গজেব তার উইলে লিখেছিলেন যে তাকে খুলদাবাদেই তার পীরের কবরের কাছে কবর দেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনি আরও লিখেছেন, তাঁর কবর যেন সাজানো না হয়, খোলা জায়গায় রাখা হয়। এছাড়া তিনি স্পষ্টভাবে লিখেছিলেন যে তাঁর সমাধিতে কোনো ধরনের বড় ধরনের নির্মাণ করা চলবে না।
খুলদাবাদে বহু সূফী সাধক ছাড়াও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সমাহিত করা হয়েছে। দেশ ও বিশ্বের সব বড় বড় সূফী সাধক এখানে আসতেন এবং এখানে সমাহিতও হতেন। এর পর এই প্রথা শুরু হয় এবং অনেক বড় মানুষ এখানে নিজেকে সমাহিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই কারণেই খুলদাবাদকে দক্ষিণ ভারতে ইসলামের দুর্গও বলা হত।
No comments:
Post a Comment