হিমাচলের ধ্বংসযজ্ঞে বাড়ছে মৃতদেহের সংখ্যা
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৬ আগস্ট : মঙ্গলবার, হিমাচল প্রদেশের সিমলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণ নগর এলাকায় ভূমিধসে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।এর পর মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্যে বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬-এ। এখানকার কৃষ্ণ নগর এলাকায় ভূমিধসের পর অন্তত আটটি বাড়ি ধসে পড়ে এবং একটি বধ্যভূমি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।
সিমলার পুলিশ সুপার সঞ্জীব কুমার গান্ধী জানিয়েছেন, ভূমিধসে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে সোমবার থেকে মোট ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি সামার হিলের শিব মন্দির সাইট থেকে, পাঁচটি ফাগলিতে এবং দুটি কৃষ্ণ নগরে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, শিব মন্দিরে এখনও ১০ জনেরও বেশি লোক আটকে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিক্ষা বিভাগের জারি করা একটি আদেশে বলা হয়েছে যে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ১৬ই আগস্ট অর্থাৎ এদিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল ও কলেজ একদিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
রবিবার থেকে রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, ভূমিধস এবং মেঘ বিস্ফোরণের কারণে রাস্তাঘাট এবং বাড়িঘর ধসে পড়েছে। সিমলার জেলা প্রশাসক আদিত্য নেগি বলেছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) সকাল ৬ টার দিকে সামারহিলে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করেছে। তিনি জানান, প্রবল বৃষ্টির পর সোমবার রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
সোমবার সকাল ৭.১৫ মিনিটে মন্দিরে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সেখানে বিপুল সংখ্যক ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রবল বৃষ্টির কারণে ১৯শে আগস্ট পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারও ২০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, "শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা যথারীতি তাদের দায়িত্বে উপস্থিত থাকবেন।" সোমবার, মান্ডি জেলায় বৃষ্টি সম্পর্কিত ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেখানে জেলা প্রশাসক অরিন্দম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
No comments:
Post a Comment