নোজ ওয়াক্স কি করা উচিৎ?

 

নোজ ওয়াক্স কি করা উচিৎ?

ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৪ আগস্ট : সুন্দর দেখা প্রতিটি মেয়েরই ইচ্ছা।  সুন্দর দেখতে আমরা মেয়েরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি।  কিছু মহিলা তাদের মুখের দিকে অনেক মনোযোগ দেয় আবার কেউ কেউ তাদের শরীরের উন্নতিতে নিযুক্ত থাকে।  মহিলারাও তাদের ত্বকের যত্নের রুটিনে ওয়াক্সিং অন্তর্ভুক্ত করে।  সাধারণত হাত, পা এবং মুখের ওয়াক্সিং করতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিছু মহিলা আছেন যারা ওয়াক্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের নাকের লোম ওয়াক্স করেন।  এখন এখানে প্রশ্ন হল যে নাকের লোম ছাঁটাই করা উচিৎ?  চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন চিকিৎসক নারী ও পুরুষদের নাকের লোম কখনই ওয়াক্স না করার জন্য সতর্ক করেছেন।  ডাক্তার বলেছেন, নাকের লোম অপসারণে ওয়াক্স ব্যবহার করলে নাকে মারাত্মক সংক্রমণ হতে পারে, যাকে নাকের ভেস্টিবুলাইটিস বলে।  শুধু তাই নয়, এর কারণে জ্বালাপোড়া, চুলকানি ও ব্যথার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  তবে এই সমস্যা নিরাময় করা খুব সহজ।  তবে কখনও কখনও ফোঁড়া, ফোসকা এবং ফোলা অসুবিধা তৈরি করে।

 সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে:

নাকের লোম শরীরের ভিতরে ধূলিকণা এবং পোকামাকড় প্রবেশ করতে বাধা দেয়।  ডাঃ নিকোল অ্যারনসন বলেন যে ওয়াক্সিং ত্বকের বাধা ভেঙ্গে কাজ করে, যার মানে যে কোনো ব্যাকটেরিয়া সহজেই টিস্যুর ভিতরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

 ওয়াক্সিং এর পরিবর্তে ট্রিমিং করা :

 ওয়াক্সিং করে লোম গোড়া থেকে উপড়ে ফেলা হয়।  নাকের লোম নষ্ট করা যাবে না।  কারণ এগুলো নাককে অ্যালার্জি থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।  বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়াকে গলা এবং ফুসফুসে পৌঁছাতে বাধা দেয়।  যদি নাকের লোম থেকে জ্বালা থাকে, তাহলে ওয়াক্সিংয়ের পরিবর্তে ট্রিমিং পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।  এতে ব্যথা অনুভব হবে না এবং সংক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকবে।