নাবালিকাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার গৃহশিক্ষক
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ আগস্ট : রাজ্যে শিশুদের নিরাপত্তা আবারও প্রশ্নের মুখে। বাড়ির শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানা এলাকার। বৃহস্পতিবার সকালে ১১ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গৃহশিক্ষকের শারীরিক নির্যাতনের পর থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করে ওই নাবালিকা মেয়েটি। তাকে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঘটনার পর স্বজনরা কেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল।
অভিযুক্তরা অতিরিক্ত সময় পড়ানোর অজুহাতে ওই দিন সকালে নাবালিকাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে বলে অভিযোগ। একই সময়ে, পরিবারের অভিযোগ ছিল যে এগারো বছরের নাবালিকা শারীরিকভাবে নিগৃহীত হয়েছে। ঘটনার পর ওই দিন ছোট মেয়েটি বাড়ি ফিরলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপর পরিবারের সদস্যরা পুরো ঘটনা জানতে পারেন। ওই দিন বাড়ি ফেরার পর নাবালিকাও শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। পরিবারের লোকজন দেরি না করে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে সেখান থেকে তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এদিকে, মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেশপুর থানায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ দায়েরের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশি হেফাজতের আবেদন করবে। এদিকে, পুলিশ নাবালিকা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করেছে এবং মেয়েটি সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এলাকায় শিক্ষকের হাতে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছিল। ওই মামলার তদন্তে বিলম্বের জন্য আদালত পুলিশকে তিরস্কার করেন।
No comments:
Post a Comment