পঞ্চকেদার যাত্রায় মদমহেশ্বরের মন্দির সম্পর্কে জেনে নিন
মৃদুলা রায় চৌধুরী, ০৭ সেপ্টেম্বর : উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত পঞ্চকেদারের মধ্যে অন্যতম, মদমহেশ্বর বা মধ্য মহেশ্বরের পূজো করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। পঞ্চ কেদারে এটি দ্বিতীয় কেদার হিসেবে পূজিত হয়। দেবতাদের দেবতা মহাদেবের এই মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের অন্যতম প্রধান শিব মন্দির, যার অনেক গুরুত্ব রয়েছে কারণ এখানে ভগবান শিবের ষাঁড়ের রূপের নাভিকে পূজো করার রীতি রয়েছে। মনে করা হয় এই মন্দিরটি মহাভারত আমলে পাণ্ডবরা তৈরি করেছিলেন। আসুন জেনে নেই মদমহেশ্বর মন্দির সম্পর্কিত ৭টি বড় তথ্য সম্পর্কে-
মদমহেশ্বর মন্দির উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার চৌখাম্বা পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। সেখানে পৌঁছতে উখিমঠ থেকে কালিমাঠ এবং তারপর মানসুনা গ্রাম হয়ে ২৬ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।
উত্তরাখণ্ডের পঞ্চকেদারে ভগবান শিবের পাঁচটি ভিন্ন রূপের পূজো করা হয়। ভোলের ভক্তরা কেদারনাথে ষাঁড়ের আকারে ভগবান শিবের কুঁজ, তুঙ্গনাথে হাতের, রুদ্রনাথে মাথা, মদমহেশ্বরে নাভি এবং কল্পেশ্বরে চুলের জটার পূজো করে।
বিশ্বাস অনুসারে, যে ব্যক্তি মদমহেশ্বর মন্দিরে গিয়ে ভগবান শিবের নাভিকে দর্শন করে এবং পূজো করে, তার উপর মহাদেবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়, যার ফলে তিনি সুখী জীবনযাপন করেন এবং অবশেষে শিবলোক লাভ করেন।
বিশ্বাস অনুসারে, প্রকৃতির কোলে অবস্থিত এই মন্দিরে মহাদেব ও মা পার্বতী একবার রাত্রিযাপন করেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের লিঙ্গায়েত ব্রাহ্মণরা মদমহেশ্বর মন্দিরে শিবের পূজোর জন্য পুরোহিত হিসাবে নিযুক্ত হন।
মদমহেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি এই পবিত্র আবাসের কাছে অবস্থিত পুরনো মদমহেশ্বর মন্দির, লিঙ্গম মদমহেশ্বর, অর্ধনারীশ্বর এবং ভীম মন্দিরের পূজো ও দর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ভগবান শিবের এই মন্দিরটি অনেক উচ্চতায় অবস্থিত, যেখানে পৌঁছতে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়। মদমহেশ্বরের মন্দির শীতকালে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
মধ্যমহেশ্বর মন্দির দেখার সর্বোত্তম সময় মে থেকে জুনের মধ্যে কারণ এই সময়ে এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে, এসময় যাওয়া ভাল।
No comments:
Post a Comment