র্যাগিংয়ের আরেকটি সত্য এল সামনে!
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা, ২২ আগস্ট : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর জেরে স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর পর থেকেই এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চলছে। সেই সঙ্গে এই বিতর্কের মধ্যেই সামনে এসেছে র্যাগিংয়ের আরও একটি কালো সত্য। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের (ডব্লিউবিএইচআরসি) একজন সদস্য বলেছেন যে দু বছর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্টকেও হয়রানি করা হয়েছিল। সারারাত তার সঙ্গে র্যাগিং করা হয়। তদন্তে তিনি সব খুলে বলেন।
WBHRC-এর সাথে কথা বলে, হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্ট বলেছিলেন যে ঘটনাটি এখনও তার মনে তাজা ভাবে রয়ে গেছে। এ কারণে এ ৯ আগস্ট ঘটনার খবর পেয়েও তিনি সেখানে যাননি। উল্লেখ্য ৯ই আগস্ট, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্র স্বপ্নদ্বীপকে প্রচণ্ড র্যাগিং করা হয়। এরপর হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার স্বতঃপ্রণোদনা গ্রহণ করে, WBHRC টিম ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১০ই আগস্ট তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে। দলটি আরও তিনজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে যারা মৃত ছাত্রের সাথে রুম ভাগ করে নিয়েছে। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে অনেক ত্রুটি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
WBHRC টিম জানিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং কলকাতা পুলিশ ২৪শে আগস্ট এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। দলটি বলেছে যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। ডব্লিউবিএইচআরসি জানিয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এখান থেকে পাস করে বেরিয়েছে কিন্তু রুম খালি করছেন না।
No comments:
Post a Comment