রান্নাঘরে উপস্থিত এই জিনিস গুলোও পরিষ্কার রাখা জরুরি
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ অগাস্ট : আমরা আমাদের রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করি। কেউ কেউ দিনে দুবার রান্নাঘর পরিষ্কার করেন আবার কেউ কেউ দিনে একবার। কেউ কেউ আছেন যারা সপ্তাহে মাত্র একবার রান্নাঘর পরিষ্কার করেন। দেখা যায়, অনেকেই রান্নাঘর পরিষ্কার করলেও তাতে রাখা জিনিসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিতে ভুলে যায় বা সেদিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন মনে করে না। কিন্তু সেগুলোতে এত বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্নাঘরের সেই জিনিসগুলি, যেগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে আমরা প্রায়শই মনোযোগ দেই না-
রান্নাঘরের এই জিনিসগুলিও পরিষ্কার রাখতে হবে:
দরজার হাতল এবং বৈদ্যুতিক সুইচ:
অনেকেই জানেন না যে রান্নাঘরের দরজার হাতল এবং বৈদ্যুতিক সুইচের মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই যখনই রান্নাঘর পরিষ্কার করবেন, এই দুটি জিনিস পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
ডিশক্লথ:
যে কাপড়টি ভিজে বাসন মুছতে এবং রান্নাঘর পরিষ্কার করতে ব্যবহার করেন। সেই কাপড়ের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দেওয়া খুবই জরুরি। অনেকে অনেক দিন একই কাপড় দিয়ে রান্নাঘর পরিষ্কার করে রাখেন এবং ধোয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। প্রতিদিন রান্নাঘরের কাপড় ধোয়ার চেষ্টা করুন।
স্পঞ্জ:
থালা-বাসন ধোয়ার জন্য যে স্পঞ্জ ব্যবহার করেন, তা পরিষ্কার রাখাও জরুরি। অনেকেই মনে করেন থালা-বাসন ধোয়ার সময় যদি সাবান মাখিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে নিজে থেকেই ধুয়ে যাবে। কিন্তু এটা যে মত না। ময়লা বাসন ধোয়ার পর স্পঞ্জ নোংরা হয়ে যায়। এই কারণেই এটি আলাদাভাবে ধোয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি স্পঞ্জ নোংরা রেখে যান, তাহলে ই. কোলির মতো বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া পাত্রে জমা হতে পারে।
চপিং বোর্ড:
সবজি কাটতে যে চপিং বোর্ড ব্যবহার করেন, সেই চপিং বোর্ড পরিষ্কার রাখতে হবে। কাঠের চপিং বোর্ডে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই কারণেই রান্নাঘর পরিষ্কার করার সময় চপিং বোর্ডকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করতে ভুলবেন না।
ফ্রিজ:
রান্নাঘর পরিষ্কারের মধ্যে ফ্রিজ পরিষ্কার করাও অন্তর্ভুক্ত। কারণ ফল ও সবজি থেকে শুরু করে খাবার সবই ফ্রিজে জমা থাকে। সপ্তাহে একবার বা দুবার ফ্রিজ পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।
ডাস্টবিন:
সময়ে সময়ে যে ডাস্টবিনে রান্নাঘরের বর্জ্য রাখা হয় তা পরিষ্কার করুন। কারণ ডাস্টবিনে অনেক বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়, যার কারণে বাড়ির লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
সিঙ্ক:
রান্নাঘরের সিঙ্কও দিনে দুবার ধুতে হবে। একবার সকালে এবং একবার রাতে। বাসনপত্র ধোয়ার আগে সিঙ্ক ধুয়ে ফেলুন, তারপর সাবান লাগানোর পর তাতে বাসন রাখুন।
No comments:
Post a Comment