জোড়া খুন, গ্রেফতার ৭ জন
নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১২ অগাস্ট ::দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ এলাকায় দুই বন্ধুর খুন করার অভিযোগ সামনে এসেছে। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবুজ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীতলা সংঘ ক্লাবের কাছে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। ওই রাতে রাস্তার পাশে দুজনের বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের নাম মাধব পুরকাইত ও গণেশ নস্কর। ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অসীম বৈদ্য সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দুই বন্ধুই মদ্যপান করতে বেরিয়েছিলেন। প্রতিদিন রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে তারা বের হতেন, কিন্তু রাত হয়ে গেলেও দুজনেই বাড়ি ফেরেননি। উদ্বিগ্ন হয়ে পরিবারের লোকজন কিছুক্ষণ পর খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর তাঁরা দেখতে পান রাস্তার পাশে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এরপর দুই বন্ধুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্যের বিরুদ্ধে নৃশংসভাবে দুজনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, পুরনো শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ অসীম বৈদ্যসহ তার সাত সহযোগীকে গ্রেফতার করে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মৃত দু’জনই ১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো রাতেও তারা মদ পান করতে বেরিয়েছিলেন। মাধব অনেকক্ষণ বাড়ি না ফিরলে মাধবের স্ত্রী নিজের দেওরকে খোঁজ নিতে বলেন।
মাধবের ভাই দাবি করেছেন যে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে শীতলা সংঘ ক্লাবের কাছে গেলে অসীম বৈদ্য সহ কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাদের হাতে তরবারির মতো ধারালো অস্ত্র ছিল। মাধবের ভাই জানান, কিছুদূর যাওয়ার পর তিনি তাঁর দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন দেখতে পান। এরপর অভিযুক্তরা তাকে ধাওয়া করে। তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পরিবারের কাছে পুরো বিষয়টি জানান।
এরপর মাধবের ভাই সোজা থানায় যান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহ দুটি উদ্ধার করে খড়িবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ, অসীম বৈদ্যের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল। তার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মাধব পুরকাইত জমি ক্রয়-বিক্রয় করতেন। এর আগেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অসীম বৈদ্য সহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment