জেলটিন লাঠি ও বোমা উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ০৬ অগাস্ট : বীরভূম জেলার খয়রাশোল থেকে উদ্ধার হল ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এ ছাড়া একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১২ হাজার জেলটিন লাঠি উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরকগুলি একটি কার্টুন বাক্সে সিল করে রাখা হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ এই বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। বীরভূম পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত জেলটিন বাজেয়াপ্ত করার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এটি খয়রাশোল থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের ঘটনা। একটি ঝোপ থেকে প্রায় পনেরটি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জানা যায়নি ওই বোমাগুলো কারা এবং কী উদ্দেশ্যে রেখে গেছে। কী উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় বোমাগুলি রাখা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রামপুরহাটের রাদিপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১২,০০০ জেলটিন লাঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিস্ফোরকগুলি ৬০টি কার্ডবোর্ডের বাক্সে রাখা হয়েছিল। কেন এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক রাখা হল? তা খতিয়ে দেখছে রামপুরহাট থানার পুলিশ। খয়রাশোলের কৃষ্ণপুর গ্রামে গতকাল দুপুরে ঝোপের মধ্যে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। পরে পুলিশ গিয়ে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বোমাটি মজুত করা হয়েছে বলে অনুমান স্থানীয়দের।
সহিংসতার দিক থেকে বীরভূমের এলাকাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে বিবেচিত হয়। এর আগেও নির্বাচনের সময় ও পরে এখানে অনেক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেও এখানে বিপুল পরিমাণ তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রামপুরহাটে প্রায় ১২,০০০ জেলটিন স্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্জন বাড়ি থেকে এই লাঠিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি এনআইএ বিস্ফোরক মজুত করার অভিযোগে তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে, ইসলাম চৌধুরী মুরাইয়ের স্ত্রী ব্লক ২-এর কুশমোর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ইসলাম ওই অঞ্চলের আঞ্চলিক সভাপতি। ইসলাম বর্তমানে এএনআই-এর হেফাজতে রয়েছে।
No comments:
Post a Comment