ডিজে বাজানোর বিরোধিতা করায় খুন হলেন তৃণমূল কর্মী
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ আগস্ট : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হারোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের চার দিন পর স্বরূপনগরে খুন হলেন আরেক তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত কৈজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাদুরিয়া গ্রামে। মদ্যপদের ডিজে বাজানোর প্রতিবাদ করায় টিএমসি কর্মীদের একটি দলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে। নিহতের স্ত্রী ও ছেলেও আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট রাতে ওই গ্রামে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন লোক পিকনিক করছিল। এ সময় মাতাল যুবকরা উৎসাহে নাচছিল। সাথে সাউন্ড বক্স বাজছিল।
সেখানে উপস্থিত গোবিন্দ মণ্ডল (৬৮) সাউন্ড বক্সের বিকট শব্দ সহ্য করতে না পেরে প্রতিবাদ শুরু করেন। গোবিন্দ মণ্ডল এলাকায় একজন সক্রিয় TMC কর্মী হিসেবে পরিচিত। টিএমসি কর্মী মাতাল যুবকদের অপকর্মের বিরোধিতা করেছিলেন। ওই যুবকরা দেখামাত্র তাঁর ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাকে বাজেভাবে মারধর করা হয়। গোবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। মৃতের ছেলে সমীরন মণ্ডলও তরুণ তৃণমূল নেতা।
এ ঘটনায় বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে প্রথমে শানদাপুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোবিন্দ মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মীর। স্বরূপ নগর থানায় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন অর্জুন মণ্ডল, সুজিত মণ্ডল ও শঙ্কর মণ্ডল। বৃহস্পতিবার তিনজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। স্বরূপ নগর থানার পুলিশ তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। নিহতের স্ত্রী বলেন, “ওরা জোরে ডিজে বাজাচ্ছিল। তার স্বামী এর বিরোধিতা করেন। প্রতিবাদ করলে প্রথমে তার স্বামীকে মারধর করা হয়। এরপর আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। আমার ছেলেকেও মারধর করা হয়।" তিনি বিজেপি ও সিপিআই (এম) সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
ঘটনা অস্বীকার করে বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকার বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটি একটি ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে বিজেপির কেউ জড়িত নয়। লক্ষণীয়, গত রবিবার সকালে বসিরহাটের তৃণমূল নেতা শেখ সাহেব অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাইকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয় এবং নির্বিচারে গুলিবর্ষণে টিএমসি নেতা নিহত হন।
No comments:
Post a Comment