অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি, রয়েছে বন্যার আশঙ্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৬ আগস্ট : আবহাওয়া দফতরও অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে উত্তরবঙ্গের তিস্তায় জল। দার্জিলিংয়ে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, মৃতের নাম বাবু রায়। বয়স ৫৯ বছর। ভূমিধসে তার মৃত্যু হয়। ভারি বর্ষণে পাঠাবং ডান্ডা গ্রামের বাবুলালের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বহু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রবল বর্ষণে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। এতে বাবু রায়ের মৃত্যু হয়। দমকল গিয়ে ওই দেহ উদ্ধার করে। বাবুকেও মৃত ঘোষণা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের মাটিগাড়ায়। দিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৭০ মিমি। গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হয়েছে। শনিবারও এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে এদিন ভাল বৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬শে আগস্ট শনিবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৭ আগস্ট উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে। দক্ষিণবঙ্গেও শুক্রবার সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। মেদিনীপুর, চব্বিশ পরগনা, বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শনিবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে।
অন্যদিকে, তিস্তা ব্যারেজ থেকে বিরতি দিয়ে জল ছাড়ার ফলে জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীর জল থমথমে। নদীর দুই তীরে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে জল প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সিকিমের পাহাড়ে গত দুদিনের অবিরাম বর্ষণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়েছে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। একই সঙ্গে তিস্তা নদীর সব লক গেট খুলে আবার পর্যায়ক্রমে জল ছেড়ে দেওয়া হয়। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে চার হাজার কিউসেক জল।
অবিরাম জল ছাড়ার ফলে জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করলা নদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর ১নং ওয়ার্ডের ইন্দিরা কলোনী, ৩নং ওয়ার্ডের কিছু অংশ, ২২নং ওয়ার্ডের কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনি ও নিচ মট এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
No comments:
Post a Comment