নূহের ইতিহাস!
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ অগাস্ট : নূহ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। এই শহরটি তার আসল পরিচয় পায় তখন যখন এটিকে একটি জেলা হিসাবে নামকরণ করা হয়। এর আগে এই শহরটি ব্রিটিশ শাসনামল থেকে তহসিলের মর্যাদা পেয়েছিল। নূহ দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক শহর। তবে এর মধ্যে এর পরিচয় হারিয়ে যায়, যা নামকরণের মাধ্যমে সরকার পুনরায় চিহ্নিত করে। বলা হয় এই শহরের ইতিহাস প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো।
মেওয়াতের গবেষণার উপর লেখা বইগুলিতে উল্লেখ আছে যে, কিষনধজ নামে এক ব্রাহ্মণ ইন্দোর থেকে এসে নূহ নগরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরে আলাউদ্দিন খিলজি ব্রাহ্মণদের কাছ থেকে সমস্ত জমি ছিনিয়ে নেন এবং নূহকে খানজাদের হাতে তুলে দেন। সে সময় এখানে খানজাদ ও কুরাইশদের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। দেশ ভাগ হলে অধিকাংশ কুরেশি ও খানজাদে পাকিস্তানে চলে যায়। নূহের আশেপাশে গ্রামাঞ্চলে মেও এবং জাট সম্প্রদায়ের বসবাস।
মেওয়াত কী :
'দ্য ওরাল ট্র্যাডিশন অফ মেওয়াট' পত্রিকা অনুসারে, মেওয়াতের আয়তন প্রায় ৭৯১০ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ। এই সমস্ত অঞ্চলকে একত্রিত করে মেওয়াত গঠিত হয়, যেখানে মেওরা বাস করে। এরা মুসলমান হলেও তারা বিশ্বাস করে যে তারা রাম, কৃষ্ণ ও অর্জুনের বংশধর।
দুবার ভিন্ন নামে জেলা করা হয়েছে:
নূহকে দুবার বিভিন্ন নামে জেলা করা হয়। প্রথমত, ২রা অক্টোবর, ২০০৪-এ, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওম প্রকাশ চৌতালা পুনহানাকে গুরগাঁও থেকে আলাদা করে একটি জেলার মর্যাদা ঘোষণা করেছিলেন এবং এর নামকরণ করা হয়েছিল সত্যমেব পুরম। এর পরে, কংগ্রেস যখন ২০০৫ সালের এপ্রিলে ক্ষমতায় আসে, তখন এটিকে আবার জেলা করার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল এবং এর নাম পরিবর্তন করে মেওয়াত করা হয়েছিল। এর পরে, ২০১৬ সালে, মেওয়াতের নাম পরিবর্তন করে নূহ রাখা হয়। দু বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে, নীতি আয়োগের একটি রিপোর্ট এসেছিল, যেখানে নূহকে দেশের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
১৮৫৭ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান কেন্দ্রও ছিলেন নূহ। এখানকার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। এলাকার শহীদদের স্মরণে এখানে শহীদ পার্কও নির্মিত হলেও বর্তমানে সেখানে পৌরসভার কার্যালয় রয়েছে। বর্তমানে নূহতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে উন্নয়নের দৌড়ে যোগ দিচ্ছেন নূহ।
No comments:
Post a Comment