ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়? - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Tuesday, 22 August 2023

ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়?

 



 ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়?



ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২২ আগস্ট : সবাই জানেন যে সিগারেট শরীরের জন্য বিপজ্জনক এবং এটি ধীরে ধীরে ফুসফুসের ক্ষতি করে।  সিগারেটে পাওয়া টক্সিন শরীরকে সম্পূর্ণ ফাঁপা করে দেয়, তাই এটি ছেড়ে দেওয়াই সঠিক বিকল্প।  যেভাবে কেউ সিগারেট খায়, তার শরীরে খারাপ দিক পরিবর্তন হয়, একইভাবে সিগারেট ছাড়ার পরেও শরীরে অনেক পরিবর্তন হয়। চলুন জেনে নেই ধূমপান ছেড়ে দিলে শরীরে কী কী পরিবর্তন হয়-


 এক ঘন্টা পরে:


 শেষ সিগারেট ধূমপানের প্রায় ২০ মিনিট পরে, হৃদস্পন্দন হ্রাস পাবে এবং স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে।  এর পাশাপাশি রক্তচাপও স্থিতিশীল হতে শুরু করবে।


 প্রায় ১২ ঘন্টা পরে:


 সিগারেটে কার্বন মনোক্সাইডের মতো অনেক টক্সিন থাকে, যার কারণে রক্ত ​​ও হার্টে অক্সিজেন পৌঁছতে সমস্যা হয়।  ১২ঘন্টা সিগারেট ছাড়া থাকলে শরীরে কার্বন মনোক্সাইড কমে যায় এবং এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।


 একদিন পরে:


 সিগারেট ছাড়ার মাত্র ১ দিন পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমতে শুরু করে।  সিগারেট রক্ত ​​জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায় এবং উচ্চ রক্তচাপ অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।  কিন্তু কিছু দিন পর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং অক্সিজেনের মাত্রা বাড়তে থাকে।


দু দিন পর:


 সিগারেট ছাড়ার পর অনেক স্নায়ু ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে, যার কারণে স্বাদ ও গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা দুদিন পর বেড়ে যায়।


 তিন দিন পরে:


৩ দিন পরে নিকোটিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।  নিকোটিন হ্রাসের ৩ দিন পরে, মেজাজ পরিবর্তন এবং বিরক্তি, তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।


 এক মাস পরে:


 এক মাসে ফুসফুসের অনেক উন্নতি হয়।  ফুসফুসের সুস্থতার সাথে সাথে দৌড়নো, ঘোরাঘুরি, হাঁটার মতো শক্তি বাড়তে থাকে।


 তিন মাস পর:


 সিগারেট ছাড়ার পর ফুসফুস, রক্ত, হার্টের উন্নতি ক্রমাগত হতে থাকে।


 নয় মাস পরে:


 তারপর নয় মাস পর ফুসফুস ঠিকমতো সুস্থ হয়ে ওঠে।  চুলের মতো অনেক গঠন নিরাময় শুরু হয়, যা সিগারেটের দ্বারা নষ্ট হয়ে যায়।  এই কাঠামো শুধুমাত্র সংক্রমণ থেকে ফুসফুস রক্ষা করে।


 প্রায় এক বছর পরে:


 প্রায় এক বছর পর হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রায় অর্ধেক কমে যায়।  এছাড়াও, এই ঝুঁকি ক্রমাগত কমতে থাকে।


 প্রায় পাঁচ বছর পরে:


 পাঁচ বছর পরে, শরীরের স্নায়ুগুলি আবার প্রশস্ত হয়, যা একটি সুস্থ শরীরে ঘটে।  এর ফলে রক্ত ​​জমাট বাঁধার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।  এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে এবং শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad