ওজন কমানোর উপায়
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৪ আগস্ট : উপোস অনেক ক্ষেত্রেই রাখা হয়। এটি ওজন কমানোর একটি প্রধান পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। এর পেছনে বিজ্ঞান রয়েছে এবং অনেক গবেষণা এটি সমর্থন করে, তবে অল্প সময়ের জন্য (১-২ দিন) উপোস রাখাকে সাধারণত সঠিক বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ সময় উপোস করলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে। উপোস করলে রক্তে শর্করার মাত্রা, বিপি এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে এ সময় পর্যাপ্ত জল পান করা প্রয়োজন, এতে জলশূন্যতা হবে না।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে দীর্ঘ সময় ধরে উপোস করলে শরীরের চর্বি শতকরা কমে যায়। কিন্তু এই প্রভাব ন্যূনতম। খাবার খাওয়ার সাথে সাথে মেদ বাড়ে। এটি শরীরের সামগ্রিক ওজন কমাতে পারে, তবে এটি বিশেষভাবে চর্বি কমায় না। উপোস রাখার সাথে সাথে নিয়মিত ব্যায়াম এবং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন, শুধু উপোস করলেই যে শরীরে খুব বেশি প্রভাব পড়বে তা নয়। এটি মেটাবলিজম বাড়াতে পারলেও মেদ কমানোর সঠিক উপায় নয়।
স্বল্পমেয়াদী ওজন হ্রাস:
শুরুতে, উপোস করলে দ্রুত ওজন কমতে পারে, তবে এটি বেশিরভাগই জলের ওজন। আসলে আমরা যখন খাবার খাই তখন গ্লাইকোজেন আকারে শরীরে আরও শক্তি জমা হয়। এই গ্লাইকোজেন আমাদের লিভার এবং পেশীতে জমা থাকে। যখন উপোস করা হয়, তখন শরীর প্রথমে এই গ্লাইকোজেনকে শক্তি হিসাবে ব্যবহার করে। যখন গ্লাইকোজেন স্টোর ক্ষয় হয়, শরীর শক্তির জন্য চর্বি সঞ্চয় ব্যবহার শুরু করে। এই কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে উপোস করলে ওজন কমে যায়। কিন্তু এই পদ্ধতি সঠিক বলে বিবেচিত হয় না।
গবেষণা যা বলে :
গবেষণা অনুসারে, দীর্ঘ সময় ধরে উপোস করলে শরীরের চর্বির শতাংশ কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। তবুও, চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত উপোস করার পাশাপাশি ব্যায়াম এবং ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
No comments:
Post a Comment