জানেন কী এই গাছকে দেওয়া ২৪ ঘন্টার কঠোর নিরাপত্তা?
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ অগাস্ট : রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিরা দেশে জেড প্লাস নিরাপত্তা পেয়েছেন। কিছু সেলিব্রিটি এবং ব্যবসায়ীদেরও এই সুরক্ষা দেওয়া হয়। তারা ২৪ ঘন্টা কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকে। তবে জানেন কী দেশে একটি গাছও রয়েছে যাকে Z+ সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই গাছের সুরক্ষার জন্য সারাক্ষণ চারজন রক্ষী মোতায়েন থাকে। এর নিরাপত্তার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয়। চলুন জেনে নেই এই ভিভিআইপি গাছটি কোথায় আছে এবং কেন এটি এত বিশেষ-
কেন এই গাছ এত বিশেষ:
এই গাছের উৎপত্তিস্থল বিহারের গয়া জেলায়। তবে মধ্যপ্রদেশেও তা কার্যকর করা হয়েছে। ভোপাল ও বিদিশার মধ্যে সালামতপুরের পাহাড় রয়েছে, ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দ্র রাজাপাকসে এদেশের সফরে এসে এই গাছটি রোপণ করেছিলেন।
গাছ সুরক্ষা খরচ কত:
এটি একটি পিপল গাছ এবং এটি কতটা মূল্যবান তা দেখেই বোঝা যায় যে প্রতি বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার এর সুরক্ষার জন্য ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। এই গাছটি পাহাড়ের মাঝখানে ১৫ ফুট উঁচু লোহার জালের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এর নাম বোধিবৃক্ষ।
এই গাছের পরিচর্যা স্বয়ং কালেক্টরের তত্ত্বাবধানে করা হয়। গাছে ট্যাঙ্কারে জল দেওয়া হয়। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য যত্ন নেওয়া হয়। গাছের একটি পাতাও শুকিয়ে গেলে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়ে। এই গাছটি ভাল যত্ন নেওয়া হয়। শুধু দেশ থেকে নয়, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা এটি দেখতে আসেন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভগবান বুদ্ধ এই গাছের নিচে বসে বোধি লাভ করেছিলেন। তবে এটি আসল গাছ নয়। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে সম্রাট অশোক যখন তার পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য শ্রীলঙ্কায় পাঠান, তখন তিনি তাদের একটি বোধি গাছের ডাল দেন। যা তিনি সেখানে অনুরাধাপুরে রোপণ করেছিলেন। বলা হয় আজও তিনি সেখানে আছেন।
No comments:
Post a Comment