এই স্কুলগুলিতে নিষিদ্ধ আবায়া! কতটা আলাদা বোরকা থেকে এটি? জেনে নিন
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ আগস্ট : ফরাসি স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের আবায়া পরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলোতে ধর্মনিরপেক্ষ আইনের প্রয়োগের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এখন মেয়েরা আবায়া পরে স্কুলে আসতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে, ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে দেশ জুড়ে স্কুলগুলি আবার খুলছে এবং তখন থেকেই আবায়া নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই নিষেধাজ্ঞার পর ফ্রান্সে এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবায়া নিষেধাজ্ঞার পর মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে এটা আসলে কী এবং হিজাব ও বোরকা থেকে কতটা আলাদা?
প্রকৃতপক্ষে, ইসলামে, মুখমণ্ডল ও চুল ঢেকে রাখার জন্য বিভিন্ন পোশাক ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে বোরকা, নেকাব, আবায়া ইত্যাদি। চলুন জেনে নেই এই সবের মধ্যে পার্থক্য কী-
আবায়া কী :
আবায়া এমন একটি পোশাক যা মুসলিম মহিলারা শরীর ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করেন। আবায়া মাথা থেকে পা পর্যন্ত এবং পুরো শরীর ঢেকে রাখে। যেমন হিসাব ও নেকাব ইত্যাদি শুধুমাত্র মুখমণ্ডল ঢেকে রাখার জন্য কাজ করে, কিন্তু আবায়ায় পুরো শরীর ঢেকে রাখা হয়। এটি খুব ঢিলেঢালা এবং একটি বড় আলগা কাপড়ের মতো। এটি সেই মহিলারা বেশি অনুসরণ করে, যারা মহিলাদের শরীরে আঁটসাঁট পোশাকের বিরুদ্ধে। এটি পুরো শরীর ঢেকে রাখে এবং বেশ ঢিলেঢালা থাকে।
এটি উত্তর আফ্রিকা এবং আরব দেশগুলিতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি কাপড়ের ওপরেও পরিধান করা হয়। এতে নেকলেস ও পায়ের আঙুল দেখা যায় । আর বোরকায় মুখ ঢাকা থাকে এবং শুধু চোখের সামনে একটা ফাঁক থাকে।
হিজাব কী :
বিশ্বে হিজাব নিষিদ্ধ নিয়ে বহু বিতর্ক রয়েছে। হিজাব শুধুমাত্র কাঁধের উপরের অংশ ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মুসলিম মহিলারা শুধুমাত্র চুল ঢেকে রাখার জন্য হিজাব ব্যবহার করেন এবং এতে মুখ দেখা যায়। চুল ও গলা ঢেকে রাখার কাজটা হয় হিজাবের মাধ্যমে। অনেক মহিলা হিজাব পরেন, তবে কাঁধের নীচে নৈমিত্তিক পোশাক পরেন এবং শুধুমাত্র হিজাব পরেন। কিন্তু আবায়ায় বোরকার মতো সারা শরীর কাপড়ে ঢাকা।
No comments:
Post a Comment