মহিলাদের থাইরয়েডের সমস্যা বাড়ার কারণ হল এটি
ব্রেকিং বাংলা হেলথ ডেস্ক, ২৯ আগস্ট : 'হাইপারথাইরয়েডিজম' বা 'হাইপোথাইরয়েডিজম' যাকে সহজ ভাষায় প্রায়ই থাইরয়েড রোগ বলা হয়। এর পেছনে একটি হরমোন রয়েছে, যা আমাদের গলায় অবস্থিত একটি গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হয়। এই প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থিটি থাইরয়েড গ্রন্থি নামে পরিচিত। এই গ্রন্থি থেকে কমবেশি পরিমাণে হরমোন উৎপন্ন হলে তা শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন বেশি ওজন বাড়ানো বা ওজন কমানো। এই অবস্থাকে থাইরয়েড বলা হয়। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে প্রায়ই মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর চিকিৎসা সহজ নয়। একই সময়ে, মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে এর পেছনের কারণ এবং প্রতিরোধে করণীয় কী-
থাইরয়েডের কারণ :
মহিলাদের মধ্যে থাইরয়েডের উচ্চ প্রকোপ সম্পর্কে আশা আয়ুর্বেদের ডাঃ চঞ্চল শর্মা বলেন যে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি থাকে। প্রোজেস্টেরন (প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়) নামক হরমোন তার শরীরে যায়। এই দুটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা ওঠানামা থাইরয়েডের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করতে পারে। যার কারণে থাইরয়েডের সমস্যা হয়।
মহিলাদের উচ্চ থাইরয়েডের সম্ভাব্য কারণ:
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে অনেক হরমোন পরিবর্তন হয় এবং এটি থাইরয়েড ফাংশনকেও প্রভাবিত করে। এই কারণেই গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার মধ্যে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়।
কিছু পণ্য কারণ হতে পারে:
অনেক ধরনের বিউটি পণ্য ব্যবহার করা হয়। তাদের মধ্যে উপস্থিত রাসায়নিকগুলি অন্তঃস্রাব সিস্টেমকে প্রভাবিত করতে পারে (অনেক গ্রন্থি যা থেকে হরমোন তৈরি হয়)। যার কারণে শরীরে হরমোনের কার্যকারিতা ভারসাম্যহীন হতে পারে। এ কারণে শরীরে থাইরয়েডের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
থাইরয়েড থাকলে এসব থেকে দূরে থাকতে হবে:
শরীরে থাইরয়েডের পরিমাণ বেড়ে গেলে চা, কফির মতো জিনিস থেকে দূরত্ব তৈরি করা উচিৎ কারণ এতে ক্যাফেইন থাকে। এ ছাড়া উচ্চ চিনিযুক্ত জিনিসও এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যধিক চিনি গ্রহণ হরমোনের ওঠানামা হতে পারে। খাদ্য থেকে দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন পনির, দুধ কমিয়ে দিন। লাল মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এই খাবারগুলো শরীরে থাইরয়েডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও এসব খাবার পুরোপুরি বন্ধ করার দরকার নেই, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবারে এগুলোর পরিমাণ সীমিত রাখুন।
থাইরয়েড ওজন প্রভাবিত করতে পারে। এ জন্য খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনের রুটিনে ব্যায়াম ও যোগাসন অন্তর্ভুক্ত করাই ঠিক। এর সাহায্যে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে সৃষ্ট অন্যান্য সমস্যাও এড়াতে পারেন।
No comments:
Post a Comment