জনতার ক্ষোভে আহত ৮ পুলিশ সদস্য
নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ১৪ আগস্ট : হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে খুনের আসামিকে সঙ্গে পুলিশ গেলে পুলিশদের সেই জনরোষের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশকে মারধর করে। এতে থানার পরিদর্শক (আইসি)সহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের সোমাইপুর গ্রামে। জনতার মারধরে আইসি আব্দুল রব খান ও আউশগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই উত্তম মন্ডল আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জখম গুরুতর হওয়ায় তাকে বর্ধমানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
সোমাইপুর লিকিংপাড়ার বাসিন্দা সুমি সোরেন (৪৫) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নখে ছত্রাকের ব্যথার কারণে গ্রামের একজন ডাক্তারের কাছে যান। তিনি একজন বিধবা ছিলেন। বুধবার সকালে বাড়ির পাশের একটি মাঠ থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর কাউকে গ্রেফতার না করায় গ্রামবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা কয়েকদিন আগে পুলিশের কাছে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছিল। রবিবার, মৃতের ছেলে মিঠুন সোরেনকে আউশগ্রাম থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন সোরেন তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে আউশগ্রাম থানার পুলিশ মিঠুন সোরেনকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সোমাইপুর গ্রামে যায়।
পুলিশ বাহিনীর প্রধান ছিলেন আইসি আবদুর রব খান ও সেকেন্ড অফিসার উত্তম পাল। পুলিশ সোমাইপুর গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় মিঠুন সোরেনের বাড়িতে গেলে তোলপাড় শুরু হয়। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে।ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পাড়ার বাসিন্দারা। পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে আউশগ্রাম থানার আইসি, সেকেন্ড অফিসারসহ ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে উপ-পুলিশ সুপার বীরেন্দ্র পাঠক বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারা একটু সুস্থ হলেই জানা যাবে গ্রামে আসলে কী হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই গ্রামেরই এক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। এটা মেনে নিতে না পারায় মাকে হত্যা করেছে ছেলে।
No comments:
Post a Comment