শত শত বছরের পুরনো এই মন্দির, মুঘলরা এসেছিল ধ্বংস করতে এটি - Breaking Bangla |breakingbangla.com | Only breaking | Breaking Bengali News Portal From Kolkata |

Breaking

Post Top Ad

Wednesday 16 August 2023

শত শত বছরের পুরনো এই মন্দির, মুঘলরা এসেছিল ধ্বংস করতে এটি

 



শত শত বছরের পুরনো এই মন্দির, মুঘলরা এসেছিল ধ্বংস করতে এটি 


মৃদুলা রায় চৌধুরী, ১৬ আগস্ট : দিল্লি এবং লখনউ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাথ নাগরী নামে পরিচিত বেরেলি, মন্দিরের নামেও একটি পৃথক স্থান এবং একটি পৃথক পরিচয় রয়েছে।  বেরেলিতে সাতটি নাথ মন্দির রয়েছে।  এই সাতটি নাথ মন্দিরের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  এর মধ্যে প্রাচীনতম অলখনাথ মন্দির।  এই মন্দিরটি ভক্তদের বিশ্বাসের প্রধান কেন্দ্র।  এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অলখনাথ মন্দিরে শিবলিঙ্গে জলাভিষেক করলে ভক্তদের মঙ্গল হয় এবং তাদের সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। চলুন জেনে নেই এই  মন্দিরের ইতিহাস-


এই মন্দিরের ইতিহাস শত শত বছরের পুরনো।  দূরদূরান্ত থেকে এখানে ভক্তরা আসেন ভোলে বাবার পূজো করতে।  অলখনাথ মন্দিরে বটবৃক্ষে স্বয়ং উদ্ভাসিত ভগবান শঙ্করের শিবলিঙ্গ রয়েছে।  মন্দিরে ঢোকার আগেই হনুমানের ৫১ ফুট উঁচু একটি বিশাল মূর্তি স্থাপন করা হয়।  


 মন্দিরের ইতিহাস :


 অলখনাথ মন্দিরটি ৬৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো বলে মনে করা হয়।  এই মন্দিরটি নাথ নগরী বসতি স্থাপনের পূর্বের।  একটা সময় ছিল যখন মুঘল শাসকেরা মন্দির ধ্বংস করার জন্য অনেক চেষ্টা করে এবং এই পরিস্থিতিতে নাগা সাধু বাবা আলখিয়াকে আনন্দ আখড়া থেকে এখানে পাঠানো হয়েছিল, যাতে বৈদিক ধর্ম রক্ষা করা যায়।


বাবা আলখিয়ার কঠোর তপস্যার পর শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়।  বাবা আলখিয়ার নামানুসারে এই মন্দিরের নামকরণ করা হয় অলখনাথ মন্দির।  আনন্দ আখড়া মন্দিরের পরিচর্যার দায়িত্ব নিয়েছে বলে মনে করা হয়। 


 মন্দিরের প্রবেশদ্বারের ঠিক পাশেই স্থাপিত হনুমানের মূর্তি, যা ভক্তদের মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।  শনিদেবের মন্দিরও আছে।  এখানে প্রতিনিয়ত ভক্তদের আসা-যাওয়া থাকে।  মন্দিরে ভিড়।  কথিত আছে, হনুমানের মূর্তি দেখলেই মানুষের কষ্ট দূর হয়।  বর্তমানে মন্দিরের মহন্ত কালু গিরি জি মহারাজ।


 প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই মন্দিরে প্রায় ১৫ দিনের একটি বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়।  এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা ভগবান শিবের আশীর্বাদ পেতে এবং প্রার্থনা করতে পৌঁছন।  মন্দির চত্বরে রয়েছে রামসেতু বাবার পাথর, যা সবসময় জলে ভাসে।  ক্রিস্টালের প্রাচীন মন্দির গ্রন্থেও এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।  দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই পাথর দেখতে।


 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad