এই সাগরে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর উৎপত্তির রহস্য!
ব্রেকিং বাংলা ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩১ আগস্ট : আজও পৃথিবীর উৎপত্তি বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যের চেয়ে কম নয়। পৃথিবীর বয়স কত, কীভাবে এর উৎপত্তি, কীভাবে জীবন শুরু হলো? এগুলো এমনই কিছু প্রশ্ন, যার সুনির্দিষ্ট উত্তর আজ পর্যন্ত কেউ খুঁজে পায়নি। তবে এখন গ্র্যাভিটি হোল দিয়ে তা সম্ভব হতে পারে। কারণ এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর উৎপত্তির কারণগুলোর কাছাকাছি সম্ভাবনার কাছে পৌঁছতে পারেন।
গবেষণা কী বলে:
সম্প্রতি ব্যাঙ্গালোরের সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স যৌথভাবে একটি গবেষণা চালায়। জানা গেল, ভারত মহাসাগরে গ্র্যাভিটি হোল নামে একটি কেন্দ্র রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মাধ্যাকর্ষণ ছিদ্রগুলো একটি প্রাচীন সমুদ্রের ধ্বংসাবশেষ। কোটি বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে গেছে এই সাগর। অনন্য এই গবেষণা পৃথিবীর রহস্যের অনেক স্তর খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন এর সাহায্যে তারা আগামী সময়ে পৃথিবীর উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
এটি কোন গভীরতায় অবস্থিত:
গবেষকদের মতে, এই মাধ্যাকর্ষণ গর্তটি IOGL নামে পরিচিত এবং এটি ভারত মহাসাগরে প্রায় দুই মিলিয়ন বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত। গভীরতার কথা বলার সময়, এটি পৃথিবীর ভূত্বকের নীচে ৬০০ মাইলেরও বেশি গভীরতায় অবস্থিত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই আইওজিএলটি টেথিস মহাসাগরের একটি অংশ যা দীর্ঘদিন ধরে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। এ সম্পর্কে বলা হয়, কোটি বছর আগে এটি পৃথিবীর গভীরে কোথাও তলিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে, টেথিস মহাসাগর সম্পর্কে বলা হয় যে এটি গন্ডোয়ানা এবং লরাশিয়া মহাদেশকে পৃথক করত।
মিলিয়ন বছর ধরে তাই থাকবে:
বিজ্ঞানীদের মতে, এই মহাকর্ষ ছিদ্রটি প্রায় দুই কোটি বছর আগে তার আসল আকারে এসেছে এবং আগামী কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে এটি এমনই থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। সেই সময়ে, যখন এই মাধ্যাকর্ষণ হোলটি তৈরি হয়েছিল, তখন পৃথিবী একটি প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় শক্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এই মাধ্যাকর্ষণ হোলের সম্পূর্ণ গবেষণা জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্সে প্রকাশিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment