মিড ডে মিলের খিচুড়িতে মিলল মরা ইঁদুর
নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব মেদিনীপুর, ০১ জুলাই : রাজ্যে মিড-ডে মিল নিয়ে অনেক অভিযোগ সামনে এসেছে। ফের উঠে এল আরেকটি অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শনিবার মিড-ডে মিলের খিচুড়িতে একটি মৃত ইঁদুর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের সারদা এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, ওই খিচুড়ি খেয়ে অনেক শিশু অসুস্থও হয়ে পড়েছে। এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, শনিবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড-ডে মিল দেওয়া হচ্ছিল। তখনই একটি শিশুর খাবারে একটি মৃত ইঁদুর পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীদের অনুমান ততক্ষণে প্রায় ৩০-৪০ শিশু সেই খাবার খেয়ে ফেলেছে। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আকবর আলী খান এসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, যারা রান্না করেছেন তারা বলতে পারেন আমি কিছুই জানি না।"
এই প্রথম নয়, এর আগেও মিড-ডে মিলে ইঁদুর, সাপ ও পোকামাকড় পড়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যে বারবার এই ঘটনা সামনে এসেছে। ক্রমাগত অভিযোগের কারণে কেন্দ্রীয় তদন্ত দল রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে এসেছিল। জয়েন্ট রিভিউ মিশনের অধীনে ১১জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য সফর করেছিল। রাজ্যে মিড-ডে মিল কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা দেখতে প্রতিনিধি দলটি বেশ কয়েকটি জেলাও পরিদর্শন করেছে।
রাজ্যের বিরোধী দল সম্প্রতি অভিযোগ করেছিল যে মিড-ডে মিলের অর্থ অন্যান্য প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে।
রাজ্যে প্রায় ৯ বছর পর মিড-ডে মিলের সাথে দল পাঠানো হয়েছিল। এই স্কিমে, সরকারি স্কুলে অধ্যয়নরত ক্লাস ১থেকে ৮ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিটি ছাত্রকে প্রতিদিন একটি রান্না করা গরম খাবার পরিবেশন করার নিয়ম রয়েছে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রকল্পটি সারা দেশে ১১.২ মিলিয়ন সরকারি স্কুলের প্রায় ১১.৮ মিলিয়ন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মিড-ডে মিল-এ মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যে, রাজ্য ছাত্রদের পুষ্টিকর মিড-ডে মিল দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবে কেন্দ্র বলে, রেশনের দোকানে ছাত্রছাত্রীদের যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকীসহ আরও অনেক কিছু দেওয়া হয়, তাহলে শিশুরা বাড়তি পুষ্টি পাবে।
No comments:
Post a Comment