সবার থাকলেও, বন্দে ভারত ট্রেনে এই চিহ্ন নেই কেন?
ব্রেকিং বাংলা ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৮ জুলাই : প্রতিটি ট্রেনের শেষ কোচে একটি X চিহ্ন থাকে, যা নিরাপত্তার শর্তে তৈরি করা হয়। এই চিহ্নটি নির্দেশ করে যে এই কোচটি ট্রেনের শেষ কোচ। তবে বন্দে ভারত ট্রেনের শেষ বগিতে কোনো X চিহ্ন নেই। চলুন জেনে নেই এর কারণ-
বন্দে ভারত একটি উচ্চ গতির ট্রেন এবং এটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত। আসলে এই ট্রেনটি দু দিকে চলতে পারে, তাই এটি X চিহ্ন নেই।
রেলওয়েতে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সংকেত বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। একইভাবে ট্রেনের শেষ বগিতে X-এর চিহ্নটি বিশেষভাবে রেলের আধিকারিক-কর্মচারীদের জন্য তৈরি। X এর চিহ্নটি নির্দেশ করে যে এটি ট্রেনের শেষ বগি।
কেন এই চিহ্ন গুরুত্বপূর্ণ:
যখনই একটি ট্রেন একটি স্টেশনের মধ্য দিয়ে যায়, রেল কর্মীরা শেষ বগিতে X চিহ্নটি দেখেন। সেই চিহ্ন দেখার পর তারা নিশ্চিত করে যে এটি ট্রেনের শেষ বগি। যদি কোন X চিহ্ন না থাকে, তাহলে এর অর্থ হল সেই ট্রেনের পেছনের বগিগুলি ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে গেছে এবং কোথাও পেছনে ফেলে রাখা হয়েছে। এর পরে, কর্মীরা অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফোন করে এবং জানায় যে এই ট্রেনের পেছনের কিছু বগি ট্রেন থেকে আলাদা হয়ে গেছে। তাই যেকোনও ট্রেনের শেষ বগিতে X চিহ্ন দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায়, এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি হতে পারে।
বন্দে ভারত ট্রেনের বৈশিষ্ট্য:
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রতিটি দরজার বাইরে স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা এবং স্বয়ংক্রিয় ফুটরেস্ট রয়েছে। এটি যাত্রীদের সুবিধা দেয় কারণ এই গেটটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলে। বন্দে ভারত ট্রেনে হেলান দিয়ে বসার সুবিধাও রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি আসনের নিচে চার্জিং পয়েন্টও রয়েছে।
ট্রেনে যাত্রীদের বিনোদনেরও খেয়াল রাখা হয়। এছাড়াও একটি ৩২ ইঞ্চি টিভি স্ক্রিন রয়েছে। বন্দে ভারত ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণ যত্ন নেওয়া হয়। এটি ফায়ার সেন্সর, জিপিএস এবং ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত।
বন্দে ভারত ট্রেনে "রেলওয়ে সুরক্ষা কবচ" নামে একটি সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা এটিকে অন্যান্য ট্রেনের সাথে যোগাযোগ থেকে রক্ষা করে। এই বৈশিষ্ট্যটি যাত্রীদের অবাঞ্ছিত বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিচালন গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে ইন্টেলিজেন্ট ব্রেকিং সিস্টেম, যা কম সময়ে ট্রেন থামাতেও সাহায্য করে। ভিন্নভাবে অক্ষম যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে সিটের হাতলে ব্রেইল লিপিতে আসন সংখ্যা লেখা হয়। এছাড়াও রয়েছে প্রতিবন্ধী বান্ধব বায়ো টয়লেট।
No comments:
Post a Comment