কঠোর অভিভাবকত্ব সন্তানের মানসিক অসুস্থতা বাড়ায় বলছে গবেষণা
ব্রেকিং বাংলা লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৯ জুলাই : প্রত্যেক বাবা-মা নিজেদের সন্তানকে ভালোবাসেন। প্রত্যেক বাবা -মাই চান যে তাদের সন্তান বড় হয়ে একজন সফল এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি হয়ে উঠুক। এ কারণেই ছোটবেলা থেকেই তাকে আদব-কায়দায় রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অনেক সময় বাবা-মা শিশুকে শাসন করার ক্ষেত্রে খুব কঠোর হয়ে ওঠেন।আপনিও যদি এমনটি করেন তবে সাবধান হন কারণ এমনটা করলে সন্তান মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এটি নতুন গবেষণায় জানা গেছে।
বাবা মার কঠোরতা শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। কেমব্রিজ ও ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, বাবা-মা যদি সন্তানের সঙ্গে কঠোরভাবে কথা বলেন, তাহলে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এই গবেষণায় ৭৫০০ টিরও বেশি শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শিশুদের সামনে কঠোর আচরণ তাদের মধ্যে মানসিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।গবেষকরা একদল শিশুদের পর্যবেক্ষণে দেখেছেন যে এই শিশুদের মধ্যে ১০ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। অভিভাবকদের কঠোরতার মুখোমুখি হওয়ার অভ্যাস এসব শিশুদের মধ্যে বেশি ছিল।
তবে গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে শুধু বাবা-মায়ের কঠোরতা নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থানও শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী হতে পারে। বাবা মার দ্বারা আরোপিত শৃঙ্খলা ছোট বাচ্চাদের তুলনায় ৯ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
কঠোর প্যারেন্টিং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :
শিশুদের সাথে অতিরিক্ত কঠোর হওয়া তাদের বিকাশের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের শিশুদের আত্মবিশ্বাসের অভাব হতে পারে। সে তার প্রতিটি কাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে।
এই ধরনের শিশুরা নতুন জিনিস চেষ্টা করতে সক্ষম হয় না। তারা সবসময় ভয়ে থাকে যে তাদের সাথে কিছু ভুল হয়ে গেলে তাদের জন্য তিরস্কার করা হবে বা শাস্তি দেওয়া হবে। আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে তারা নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দ্বিধাবোধ করে।
কঠোর অভিভাবকত্বের কারণে, সে তার মনের কথা খোলাখুলি বলতে সক্ষম হয় না। যার কারণে ভেতরে ভেতরে দমবন্ধ বোধ করেন। অনেক সময় তারা বিষন্নতার শিকার হয়।
No comments:
Post a Comment